• facebook
  • twitter
Tuesday, 26 November, 2024

নিখোঁজ ছেলের সন্ধান দিতে পারছে না জেলা পুলিশ, সিআইডির সাহায্যের দাবি

সোমবার ২৫ নভেম্বর থেকে বীরভূমের রামপুরহাট পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলামাঠ এলাকার বাসিন্দা দোকান কর্মচারি বাবা বিশ্বনাথ দাস রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতরের সামনে অবস্থানে বসে পড়েছেন।

নিখোঁজ সন্তানের ছবি হাতে অবস্থানরত বাবা। নিজস্ব চিত্র।

অপেক্ষার দীর্ঘতা পেরিয়ে গেল একশো দিন। কিন্তু মাতৃহীন একমাত্র ছেলের নিখোঁজ হওয়ার একশো দিন পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বীরভূম জেলা পুলিশ অনেক স্তোকবাক্য দেওয়ার পরেও নিখোঁজ ছেলের সন্ধান দিতে না পারায় সোমবার ২৫ নভেম্বর থেকে বীরভূমের রামপুরহাট পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলামাঠ এলাকার বাসিন্দা দোকান কর্মচারি বাবা বিশ্বনাথ দাস রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতরের সামনে অবস্থানে বসে পড়েছেন।

তাঁর তেইশ বছরের ছেলে তীর্থনাথ দাস একটি জিম সেন্টারে প্রশিক্ষকের কাজ করতো। গত ১৭ আগস্ট বিকাল থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও বাবা বিশ্বনাথ দাস ছেলে তীর্থনাথ দাসের সন্ধান না পেয়ে পরদিন রামপুরহাট থানায় ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি করে ছেলেকে খুঁজে বের করে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু রামপুরহাট থানার পুলিশ ছেলের সন্ধান দিতে না পারায় বিশ্বনাথ দাস বিষয়টি রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে একই আবেদন জানান। কিন্তু তিনি নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পাননি।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ দাস জানান, ২০১১ সালে তাঁর স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে তিনিই একমাত্র সন্তান তীর্থকে নিয়ে থাকতেন। তীর্থ স্থানীয় একটি জিমে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিল। এই সময় থেকেই ছেলে অনলাইন গেম খেলে বড়লোক হওয়ার নেশায় পড়ে সর্বনাশের পথে পা বাড়ায়। অনলাইন গেমে বহু টাকা হেরে তাঁর স্কুটিটিও একজনকে বন্ধক দিয়ে ৬৫ হাজার টাকা নেয় এবং সে টাকাও অনলাইন গেমে হেরে যায়। বিষয়টি তিনি জানতে পারার পরে, অনেক কষ্ট করে ওই ৬৫ হাজার জোগাড় করে স্কুটিটি ছাড়িয়ে আনেন। তারপর থেকেই ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় গত ১৮ আগস্ট রামপুরহাট থানায় ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতরের সামনে অবস্থানে বসতে বাধ্য হয়েছেন।

তাঁর দাবি, রামপুরহাট শহর জুড়ে মাদকদ্রব্যের কারবার ও অনলাইন গেমের নেশায় পড়ে বহু মানুষ ও পরিবারের সর্বনাশ হচ্ছে। তাঁর এই দাবির সঙ্গে সহমত হয়ে শহরের বহু মানুষ তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বিশ্বনাথ দাস অবস্থানে বসার পরে, বিব্রত হয়ে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্বনাথ দাসের ছেলে তীর্থনাথ দাসের সন্ধান পেতে সিআইডির সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।