• facebook
  • twitter
Tuesday, 5 November, 2024

দুবরাজপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণের চেষ্টা

আরজি করের ঘটনার পরও বিভিন্ন জেলা থেকে শিরোনামে উঠে আসছে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের দুবরাজপুর।

আরজি করের ঘটনার পরও বিভিন্ন জেলা থেকে শিরোনামে উঠে আসছে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের দুবরাজপুর। প্রতিদিনের মতো কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফিরছিল ১৭ বছরের এক কিশোরী। আচমকাই পথ আটকান দুই যুবক। তারপর ওই কিশোরীর মুখে কাপড় বেঁধে দেন। অভিযোগ, এরপর একটি ফাঁকা অন্ধকার রাস্তায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই দুই যুবক। কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। যদিও ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে কোচিং ক্লাসে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সন্ধ্যা নাগাদ বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে। মাঝপথে বান্ধবীকে ছেড়ে সে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময়ই তার পথ আটকান স্থানীয় দুই যুবক। তাকে জোর করে ফাঁকা অন্ধকার রাস্তায় টেনে নিয়ে যান। যাতে নির্যাতিতা চিৎকার করতে না পারে সে জন্য মুখে কাপড় বেঁধে দেওয়া হয়। তারপরই তাকে দু’জন মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে ওই কিশোরী কোনও রকমে মুখের কাপড় খুলে ফেলে চিৎকার করে। চিৎকার শুনেই স্থানীয়রা ছুটে এসে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেন।

এদিন কালী পুজো উপলক্ষ্যে দুবরাজপুর থানায় গানের অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, এই কারণে পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করে। প্রতিবাদে থানার সামনে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখান নাবালিকার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। জমায়েত সরাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। তারপর রাতে দুবরাজপুর থানায় অভিযুক্ত দুই জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ওই কিশোরী বাধা দিলে দুই অভিযুক্ত মিলে তাঁকে মারধর করে। এর জেরে তাঁর পোশাকের একটি অংশ ছিঁড়ে যায়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পলাতক দুই অভিযুক্তকে খুঁজতে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে।