• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

প্রধান শিক্ষক বাছাইয়ে  অনিয়মের অভিযোগ

শামিম হোসেন পাস কোর্সে গ্রাজুয়েট, চাকুরীর অভিজ্ঞতাও শেখ সামসুদ্দিনের তুলনায় কম। যা নিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও শিক্ষক নির্বাচনের সময় মোহন্ত মুর্মু নামে এক শিক্ষকের উপস্থিতি নিয়েও আপত্তি তোলা হয়েছে।

শতবর্ষ প্রাচীন বর্ধমান টাউন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলো। দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয়ে সহ প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ছিল। কিন্তু ওই পদে বাছাই পর্ব হলেও কম যোগ্যতার শিক্ষককে অগ্রাধিকার দেওয়া নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লো বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরে।  লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

বর্ধমান টাউন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ডঃ তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায়। তিনি ২০২৩ এর নভেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁর সময় থেকে তো বটেই, প্রায় এক দশক ধরে নানা টালবাহানায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ছিল। চলতি মাসেই এই পদে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বসানো হয়েছে। আর তার পরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে ওই পদের জন্য স্কুলের দুই শিক্ষক শেখ সামসুদ্দিন এবং হাসিম হোসেন চৌধুরী আবেদন রাখেন। ১৯ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজল চক্রবর্তীর ঘরে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আর নির্বাচিত করা হয় সামিম হোসেন চৌধুরীকে। বাদ পড়েন সিনিয়র টিচার শেখ সামসুদ্দিন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্নাস গ্রাজুয়েট এবং স্নাতকোত্তর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই বিদ্যালয়ে আছেন।

অন্যদিকে শামিম হোসেন পাস কোর্সে গ্রাজুয়েট, চাকুরীর অভিজ্ঞতাও শেখ সামসুদ্দিনের তুলনায় কম। যা নিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও শিক্ষক নির্বাচনের সময় মোহন্ত মুর্মু নামে এক শিক্ষকের উপস্থিতি নিয়েও আপত্তি তোলা হয়েছে। কারণ তিনি সিলেকশন বোর্ডের সদস্য নন, এমনকি স্কুলের পরিচালন সমিতিরও সদস্য নন। এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক ও এক শিক্ষাকর্মী। তাঁদের দাবি অবিলম্বে ওই পদের অনুমোদন বাতিল করা হোক। এব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হলো।