চিকিৎসার অবহেলায় গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু অভিযোগ উঠল। এই মর্মে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ জানালেন তালবাগিচা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুদীপ দাস। গত ১৫ নভেম্বর সুদীপবাবুর স্ত্রী নিরাশা দাস ঘোষের প্রসব হওয়ার দিন ছিল। গত ৬ নভেম্বর প্রসবকালীন বেদনা ওঠায় নিরাশা দেবীকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন পর প্রসবের দেরি আছে বলে চিকিৎসকেরা হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেন।
১৩ নভেম্বর নিরাশা দেবীকে ফের হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান সুদীপবাবু। ১৫ তারিখ প্রসব বেদনা না ওঠায় নিরাশা দেবীকে নিয়ে হাসপাতালে যাননি তাঁর স্বামী। ১৮ নভেম্বর সকালে ব্যথা ওঠায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আলট্রাসোনোগ্রাফি করে চিকিৎসক বলেন, গর্ভস্থ শিশুটি মারা গিয়েছে। চিকিৎসকের কথায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুদীপবাবু। তিনি রোগীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা জানান, প্রসবের নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভস্থ শিশুটি গর্ভেই মারা গিয়েছে। সুদীপবাবু বলেন, ব্যথা ওঠায় ৬ তারিখ স্ত্রীকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসকেরা সিজার করলে হয়তো আমার স্ত্রীর গর্ভের শিশুটি বেঁচে যেত। কিন্তু চিকিৎসকরা তা করেননি।
বুধবার খড়গপুর টাউন থানায় জানানোর পর খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সুদীপবাবু। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হবে। সেই অনুযায়ী কোনও ত্রুটি খুঁজে পেলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।