আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন রয়েছে। এই আসনে এবার চতুর্মুখী লড়াই দেখা যাবে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে লড়েছিল। কিন্তু এবার জোট না হওয়ায় বাম ও কংগ্রেস আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। অপরদিকে ময়দানে রয়েছে তৃণমূল ও বিজেপিও। তবে এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সামনে এসেছে উৎকল সমীকরণ। প্রধান চারটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জনই ওড়িয়া তথা উৎকল সম্প্রদায়ভুক্ত।
এই কেন্দ্র থেকে ফাল্গুনী সিংহবাবুকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহি এবং সিপিএমের হয়ে লড়ছেন দেবকান্তি মোহান্তি। এরা তিনজনেই উৎকল সম্প্রদায়ভুক্ত। একমাত্র বিজেপি এই কেন্দ্রে বাঙালি প্রার্থী দিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীর নাম অনন্যা রায়। তৃণমূল দল ত্যাগ করে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রার্থীদের মধ্যে এই ওড়িয়া দাপট নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই সমীকরণ চোখে পড়েনি। তিন বছর পর উপনির্বাচনে উৎকল সমীকরণ চোখে পড়ায় রাজনৈতিক বিশ্লেষণা শুরু হয়েছে।
অরূপ চক্রবর্তী লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হওয়ায় বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁকা থেকে গিয়েছিল। এই কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। অরূপ চক্রবর্তী ছিলেন বাঙালি। ২০২১ সালে বিজেপি ও সিপিএমও বাঙালি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে লড়েছিলেন। ২০১৬ সালের ত্রিমুখী লড়াইতেও সিপিএম, তৃণমূল ও বিজেপি বাঙালি প্রার্থীদেরই দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু আসন্ন উপনির্বাচনে উৎকল প্রার্থীদের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে রাজনৈতিক দলগুলির।
জানা গিয়েছে, তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৬৪ হাজার। তার মধ্যে সিমলাপাল ব্লকেই ভোটার ১ লক্ষ ৩০ হাজার। অর্থাৎ, মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। সেই ১ লক্ষ ৩০ হাজারের মধ্যে উৎকল সম্প্রদায়ভুক্ত কমবেশি ৪৫ শতাংশ। তাই এই উৎকল সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়