ডুলুং নদীর কজওয়ের উপর তৈরি হয়েছে বিপজ্জনক ফাটল

গোপেশ মাহাত

জোড়াতালি দিয়ে কাজ করার পরেও আবারও ডুলুং নদীর উপর কজওয়ের উপর তৈরি হয়েছে ফাটল। যার ফলে এই কজওয়ের উপর যাতায়াত কারি মানুষজন রীতিমতো সংকিত কারণ যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে কজওয়েটি। এছাড়াও মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পথ চলতি সাধারণ মানুষজনেরা। আর তাই ডুলুং নদীর উপর কজওয়েটি দ্রুত মেরামতের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনাটি জামবনী ব্লকের কাপগড়ী ডিপুডাঙ্গা পিচ রাস্তার মাঝে নাগদি এলাকার ডুলুং নদীর উপর কজওয়েতে। এই রাস্ত দিয়ে দশ পনেরোটি গ্রামের মানুষজনেরা জামবনী ব্লক সদর গিধনীতে যাওয়া আসা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই কজওয়েটি মাত্র ছয় থেকে সাত বছর আগে নগদি এলাকায় তৈরী করা হয়েছে।

মাত্র কয়েক বছরেই কজওয়েটিতে ফাটল ধরে হয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে রাতের অন্ধকারে যাওয়ার সময় সব চেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মানুষ। জানা গিয়েছে কাপগাড়ী মোড় থেকে এই রাস্তা দিয়ে অতি সহজে কম সময়ে গিধনীতে বিডিও অফিস, ট্রেন ধরার জন্য গিধনী স্টেশনে এবং বাজার হাট, ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করার জন্য গিধনী বাজারে যাতায়াত করেন। এই রস্তা দিয়ে কাপগাড়ী, চনসর, বেলিয়াগুড়ি, বেড়াগাড়ি, বাঁকবেড়, সানগ্রাম, আমলাতোড়া, বড়শোল, বেনাশুলি, বালিজুড়ী, টুনিকাশোল, জড়িসা সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষজনেরা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করেন।


আবার ওদিক থেকে গিধনী সহ পাশাপাশি গ্রামের ছেলে মেয়েরা কাপগাড়ী কলেজ, ব্যাঙ্কে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কজওয়েটি তৈরী হওয়ায় বছরেই বর্ষায় কজওয়েটির একটা অংশ বসে যায়। তারপরের আবার বর্ষার সময় একটি গর্তটির তৈরি হয়েছিল। আর এবার বর্ষায় কজওয়েটির মধ্যে ফাটল তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে ২০২১ সালে কজওয়েটির উপর গর্ত তৈরি হয়েছিল। সেই সময় দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকায় খবরের জেরে জামবনী ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড়াতালি দিয়ে কাজ করেছিল। পরে তিন বছরের মধ্যে আবারও ফাটল তৈরি হয়েছে কজওয়ের উপর। অভিযোগ কজওয়ের উপর ফাটল তৈরি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেরামতির কোনও উদ্যোগ গ্রহন করেনি।

পাশাপাশি তাদের আরও অভিযোগ কাপগড়ী থেকে ডিপুডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা। নাগদি গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় হেম্ব্রম, চারিকার গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল বেশরা’রা বলেন, ‘মাত্র কয়েক বছর আগে এই কজওয়েটি তৈরী করা হয়েছে। আর তার মধ্যেই আগে গর্ত তৈরি হয়েছিল। এবার ফাটল তৈরি হয়েছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রায় দিনেই এই রস্তা দিয়ে আমাদেরকে যাওয়া করতে হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন কজওয়েটি যাতে তাড়াতাড়ি মেরামত করা হয়।’ এই বিষয়ে জামবনি ব্লকের বিডিও দেবব্রত জানা বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।