দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন শিয়ালদহের সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশন ম্যানেজার পঙ্কজ যাদব। দীর্ঘ ১৫ বছর বন্ধ থাকার পর ফের ট্রেন চলাচলের সবুজ সংকেত দিয়েছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। প্রতিদিন চারটি আপ ও চারটি ডাউন ট্রেন চালানোর অনুমোদনও মিলেছে রেল বোর্ডের কাছ থেকে।
২০১০ সালে কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ ধাম ন্যারো গেজ রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রুটকে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। অবশেষে সেই কাজ শেষ হয়েছে। শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ব্রডগেজ চালু হলেও, এবার কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রুটও পরিষেবার জন্য প্রস্তুত।
সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের কাছে অ্যাপ্রোচ রোড, নিকাশি ব্যবস্থা ও লাইন সংলগ্ন বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে, কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
শিয়ালদহ ডিভিশনের অধীনে থাকা এই রেলপথের কাজ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে। ২০১০ সালে এই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রডগেজ রূপান্তরের শিলান্যাস করেছিলেন এবং তখন থেকেই কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ন্যারো গেজ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। আনুমানিক ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের জন্য রেল বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল মমতার মন্ত্রিত্বকালেই।
শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল, এবার কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের কাছে অ্যাপ্রোচ রোড, নিকাশি ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা বেড়া নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সব প্রস্তুতি শেষ। সারাদিনে মোট আটটি ট্রেন চলবে বলে ঠিক হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারিত হয়নি, তবে রেলকর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত সেই ঘোষণাও করা হবে।