• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

অনুমতি ছাড়াই ৮ তলা, পদক্ষেপ পুরপ্রধানের

বর্ধমানে কালীবাজার এলাকায় পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই একটি ৮ তলা আবাসন নির্মাণের কাজ চলছিল। আরও অভিযোগ, কয়েকবার কাগজ দেখানোর কথা বলা হলেও আমল দেননি তাঁরা।

সংগৃহীত চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াইয়ে কাজ হলো। শহরে জবরদখল ও বেআইনি নির্মাণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্যবের পর এক বেআইনি বাহুতুল নির্মাণ বন্ধ হলো বর্ধমানে। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপে শহরের প্রাণকেন্দ্রে গজিয়ে ওঠা এক বেআইনি বহুতলের নির্মাণ বন্ধ করা হলো। বেআইনি নির্মানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে আগামী সাতদিনের মধ্যে মালিকপক্ষকে সঠিক কাগজপত্র দেখানোর নোটিস জারি করেছে বর্ধমান পুরসভা। পাশাপাশি জানান হয়েছে, সঠিক কাগজপত্র দেখতে না পারলে নির্মাণটি ভেঙে ফেলা ও মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার সকালে এই নির্মীয়মাণ আবাসনে যান পুরপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। মাপজোখের পর কাজ বন্ধের নোটিস টাঙিয়ে দেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, “শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতলের বেআইনি নির্মাণ চলছিল। মালিকপক্ষকে অনেকবার কাগজপত্র নিয়ে পুরসভায় যেতে বলা হলেও তাঁরা যাননি। বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধের মতো কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হল। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই নির্মাণের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারলে আইনানুগ ব্যব্স্থা নেওয়া হবে।”

জানা গিয়েছে, বর্ধমানে কালীবাজার এলাকায় পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই একটি ৮ তলা আবাসন নির্মাণের কাজ চলছিল। আরও অভিযোগ, কয়েকবার কাগজ দেখানোর কথা বলা হলেও আমল দেননি তাঁরা। তবে মালিকপক্ষের দাবি, ২০১৮ সালে নির্মাণের জন্য নকশার ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরসভা পালটা জানিয়েছে, যেখানে ৮ তলা আবাসনের কাজ চলছে সেখানে এই নির্মাণ করা যায় না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পুরসভার অভিযানের আগে সেখানে কাজ চলছিল। কোনওভাবে পুরপ্রধানের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায় সবাই। ঘটনাস্থলে ছিলেন এক সিকিউরিটি গার্ড। তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে তাঁকে এখানে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি কিছুই জানে না।