• facebook
  • twitter
Tuesday, 8 April, 2025

মুর্শিদাবাদে দুটি স্কুলে চাকরি হারালেন ৫৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা

২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের কারা কারা অযোগ্য তাঁদের নাম সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের ২১ জনের কারও নাম সেই তালিকায় নেই।

ফাইল চিত্র

কুশলকুমার বাগচী, বহরমপুর, ৩ এপ্রিল: সুপ্রিম নির্দেশে মুর্শিদাবাদের দুটি স্কুলে চাকরি হারালেন ৫৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী। রাতারাতি শিক্ষকহীন হয়ে পড়ল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই ঘটনায় স্কুলের স্বাভাবিক পঠনপাঠন থমকে যাবে বলে আশঙ্কা পড়ুয়া, অভিভাবকদের। জানা গিয়েছে, এই স্কুলে মোট ৬৫ জন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁর মধ্যে ৩৫ জন চাকরি হারালেন। বাতিল হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষাকর্মীর চাকরিও। স্কুলের ৯৫০০ ছাত্রছাত্রীর ভরসা এখন স্রেফ ৩০ জন শিক্ষক, ৭ জন প্যারাটিচার।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অবস্থাও একইরকম। এই স্কুলে চাকরি হারালেন ২১ জন শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের মোট ৬২ জন শিক্ষিকার মধ্যে ২১ জন শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের ফলে আগামীতে বিদ্যালয়টির পঠন-পাঠন কিভাবে হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। চিন্তয় পড়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ে রয়েছে চার হাজার ছাত্রী। শুক্রবার থেকে বিদ্যালয়টিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। তার আগে একসঙ্গে ২১জন শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের ফলে কিভাবে তা সুষ্ঠভাবে নেওয়া সম্ভব হবে, তা ভাবাচ্ছে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতিকে।

চাকরি বাতিল হওয়া ২১ জন শিক্ষিকার মধ্যে অঙ্কিতা চক্রবর্তী, পৃথা চক্রবর্তী, পারমিতা মাহাত প্রমুখ শিক্ষিকা বলেন, “২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের কারা কারা অযোগ্য তাঁদের নাম সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের ২১ জনের কারও নাম সেই তালিকায় নেই। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। এখানেই প্রমাণিত আমরা যোগ্য। আমরা যোগ্য বলেই কিন্তু আমাদের টাকা ফেরতের কথা বলা হয়নি। ফলে এই রায় মেনে নিতে পারছি না। দোষ না করেও দোষী বলা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া তো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এই রায়ের পরে আমরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আমরা আশাহত। আমরা দিশেহারা।”