মায়াপুরে অবস্থিত ইস্কনে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে কৃষ্ণজন্মাষ্টমী উৎসব। সোমবার সকাল থেকেই চলছে সাজো সাজো রব।
অধিবাসের দ্বারা তিনদিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়েছে সোমবার সকালেই। ভোর সাড়ে ৪টের সময়ে মঙ্গলারতির মাধ্যমে জন্মাষ্টমী উৎসবের সূচনা হয়। দিনভর চলে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্বশান্তি যজ্ঞ, দামোদরষ্টকম পাঠ ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠান।
দেশ-বিদেশের ভক্তের ঢল নেমেছে ইস্কনের মন্দির প্রাঙ্গণে। হরিনামে মাতোয়ারা সবাই। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও বেশ আঁটোসাঁটো। সিসিটিভি ক্যামেরা, মেটাল ডিটেক্টর, নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতির মাধ্যমে সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকী, মায়াপুর লঞ্চঘাটেও যাত্রী পারাপারের উপর কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মায়াপুর ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, আজ থেকে ৫২৫১ বছর পূর্বে মথুরায় কংসের কারাগারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পদ্মধারীরূপে আবির্ভূত হন এবং গোটা বিশ্বে প্রেম, ভালোবাসা ও একতা ছড়িয়ে দেন। আজকের দিনে তাঁর আদর্শ ও বাণীর বিশেষ প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, সমগ্র বিশ্বজুড়ে ইস্কনের অন্যান্য শাখাতেও পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমীর মহোৎসব। এছাড়া, ২৭ আগস্ট, অর্থাৎ মঙ্গলবার একাধারে পালিত হবে নান্দ্যোৎসব এবং ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা, স্বামী প্রভুপাদের ১২৮-তম জন্মজয়ন্তী।
প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিবসে পালিত হয় জন্মাষ্টমী তিথি। শাস্ত্র-পুরাণ মতে, এইদিনকেই ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতে। বিশ্বজোড়া কৃষ্ণভক্তদের কাছে তাই এটি একটি পুণ্যের দিন হিসেবেই গণ্য হয়।