নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে ২৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। ধৃত যুবকের নাম তারিফুল ইসলাম। সে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বাসিন্দা। শুক্রবার জেলা পকসো আদালতের স্পেশ্যাল কোর্টের বিচারক ইন্দিবর ত্রিপাঠি বিচারাধীন বন্দিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ময়নাগুড়ি ব্লকের এক গ্রামের ১১ বছরের নাবালিকা বাড়ির পাশে চা বাগানে ভাইয়ের সঙ্গে চা পাতা ও ফুল তুলতে গিয়েছিল। অভিযুক্ত যুবক তাঁদের ভয় দেখায় এবং জানায় বাগানের মালিক এদিকেই আসছে। এই ভয়ে নাবালিকার সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা বাগান থেকে পালিয়ে যায়। সেই সময় অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার মুখ চেপে তাকে চা বাগানের গভীরে নিয়ে যায়। সেই দৃশ্য নাবালিকার ভাইয়ের নজরে পড়ে। বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সেকথা জানায় ভাই। এরপরেই পরিবারের সকলের নজরে পড়ে চা বাগান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত যুবক তারিফুল এবং চা বাগানের নর্দমার পাশে বিবস্ত্র অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়েটি। জখম নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার।
ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষায় উঠে আসে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এতদিন মামলাটির বিচার চলছিল জেলা আদালতে। সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘মোট ৮ জন এই মামলার সাক্ষী ছিল। বিচারক অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত নাবালিকাকে চার লক্ষ টাকা জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটি থেকে দিতে বলা হয়েছে।’