আবাস যোজনার প্রাপকদের তালিকা থেকে ২৩ জন গ্রামবাসীর নাম বাদ পড়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ খড়গপুর ২ নং ব্লকের চাঙ্গুয়াল অঞ্চলের ধিতপুর গ্রামের ঐ বাসিন্দারা। আবাস যোজনার তালিকা পুনর্মূল্যায়নের জন্য গ্রামে গ্রামে সার্ভে টিম পাঠানো হয়েছিল। সেই সার্ভে টিম ঘুরে যাওয়ার পরে যোগ্য প্রাপকদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাকে ঘিরেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে ধিতপুর গ্রামে। বাদ পড়া গ্রামবাসীদের সবাই মাটির বাড়িতে থাকেন। কারো এসবেসটসের ভাঙা ছাদ থেকে জল পড়ে ,কারো ভাঙা দেয়াল দিয়ে ঘরের ভেতর জল ঢোকে। ত্রিপল দেওয়া এসবেসটসের ছাদের নিচেই বছরের পর বছর অসুস্থ বাবা মা, কোলের শিশুকে সঙ্গে নিয়ে এরা বসবাস করছেন। এদের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। অঞ্চল প্রধানের প্রতিক্রিয়া, যোগ্য প্রাপকদের নাম বাদ পড়লে তারা আগামী গ্রামসভায় অভিযোগ জানালে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধিতপুর শীতলা মন্দির এলাকার বাসিন্দা সন্তোষী ভূঁইয়া বলেন, আমাদের মাটির বাড়ি। ছাদ দিয়ে জল পড়ে। বিছানাপত্র ভিজে যায়। নিচের ভাঙা জায়গা দিয়েও জল ঘরে ঢোকে। বাচ্চার ঠান্ডা লাগে। নাম তালিকায় ছিল। এখন বাদ পড়ে গিয়েছে।
গণেশ দোলুই নামে ধিতপুরের আরেক বাসিন্দা বলেন, আমাদের মাটির বাড়ি। আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল। সার্ভে করতে এসে নাম বাদ দিয়েছে। খোঁজ করতে গিয়ে জানলাম পাকা বাড়ি রয়েছে বলে তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। অথচ আমাদের অ্যাসবেসটসের ভাঙা ছাদের উপর পলিথিন দেওয়া। এইভাবেই বহু বছর ধরে রয়েছি। অঞ্চল অফিস থেকে বলেছে বিডিও অফিস থেকে টিম এসেছিল। নাম কেন বাদ গিয়েছে ওরাই ভালো বলতে পারবে।
তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে পিন্টু দলুইয়ের নাম। তিনি বলেন, ৪০-৫০ বছর ধরে মাটির বাড়িতে রয়েছি। চারদিক ত্রিপল দিয়ে ঘেরা, বৃষ্টিতে খুব অসুবিধে হয়। সার্ভে টিম এসেছিল। ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছে। এখন খোঁজ নিয়ে শুনলাম পাকা বাড়ি রয়েছে বলে নাম বাদ গিয়েছে। আমার একটাই দাবি, ওদের তোলা ছবিতে দেখাই যাচ্ছে পাকা বাড়ি না কাঁচা বাড়ি। তাহলে আমাদের নাম কেন বাদ গেল তার জবাব চাই।
তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে পিন্টু দলুই এর নাম। তিনি বলেন, ৪০-৫০ বছর ধরে মাটির বাড়িতে রয়েছি। চারদিক ত্রিপল দিয়ে ঘেরা, বৃষ্টিতে খুব অসুবিধে হয়। সার্ভে টিম এসেছিল। ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছে। এখন খোঁজ নিয়ে শুনলাম পাকা বাড়ি রয়েছে বলে নাম বাদ গিয়েছে। আমার একটাই দাবি, ওদের তোলা ছবিতে দেখাই যাচ্ছে পাকা বাড়ি না কাঁচা বাড়ি তাহলে আমাদের নাম কেন বাদ গেল তার জবাব চাই। বুলটি দোলুই, মুনমুন দোলুইরাও একই কথা বলেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিপালী সিং বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তিনটে তালিকা টাঙ্গানো হয়েছে। একটা যোগ্য প্রাপকদের তালিকা, একটা অযোগ্য প্রাপকদের তালিকা এবং একটি নিষ্ক্রিয় প্রাপকদের তালিকা। কারো নাম যদি প্রাপকদের তালিকা থেকে বাদ যায় তাহলে তারা অঞ্চল অফিসে টাঙানো অভিযোগ বক্সে জানাতে পারেন। আগামী ১৩ তারিখ গ্রাম সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভাতেও যারা তালিকাভুক্ত হননি তারা অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে কম নাম আমাদের অঞ্চল থেকে বাদ গিয়েছে। এর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সার্ভে টিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।