আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। এর মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা। উপনির্বাচনের আগ এই তালডাংরাতেই বিরাট ধাক্কা খেল বিরোধী শিবির। সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ২০০ কর্মী-সমর্থক। ভোটের আগে বিপুলসংখ্যক মানুষ দলে যোগদান করাই উজ্জীবিত জোড়াফুল শিবির।
সম্প্রতি বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভার সিমলিপাল ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই অনুষ্ঠানেই সিপিএম এবং বিজেপি ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন ২০০ জন। তৃণমূলের বক্তব্য, বিরোধীরা এমনিতেই উপনির্বাচনে হেরে বসে আছে। ভোটের আগে এই বিরাট ভাঙনের ফলে ওদের ফল আরও শোচনীয় হবে।
দলবদলকারী কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম অরূপ লোহার। তিনি বলেন, বিজেপিতে থেকে উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছিল না। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি দলের জন্য কিছু করার সুযোগ মিলছিল না। মানুষের কাজ করতেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলাম। আরেক কর্মীর কথায়, এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী একেবারেই পছন্দ নয়। বহিরাগত এক ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে। দলকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন। তালডাংরার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপের কথায়, বাংলার ক্ষতি করে চলেছে বিজেপি। তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করার বদলে এক বহিরাগতকে প্রার্থী করেছে ওরা। এর ফলে মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছে।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল এই দলবদলের বিষয়টিকে তৃণমূলের নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, ভোটের আগে নাটক করছে তৃণমূল। দলের লোকজনকেই ওরা ঘটা করে মঞ্চ বেঁধে যোগদান করাচ্ছে।