মাছ ব্যবসার আড়ালে গাঁজা পাচার! মাছের পেটিতে লুকিয়ে গাঁজা পাচারের অভিযোগ। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস। মাছ বোঝাই ট্রাক থেকে প্রায় উদ্ধার হল প্রায় দুই কুইন্টাল গাঁজা। পুলিশ গাড়ির চালক ও সহায়ককে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। এদিকে এত পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচার প্রতিরোধে প্রায়শই টহলদারি চলে সমস্ত রাস্তায়। সন্দেহবশত রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবী মোড়ের কাছে একটি মাছ বোঝাই ট্রাক আটক করে পুলিশ। ট্রাকে তল্লাশি চালাতেই পাচারচক্রের পর্দাফাঁস হয়ে যায়। পেটির বরফের ওপর মাছ রাখা ছিল। কিন্তু সেই মাছ সরাতেই দেখা যায় থরে থরে সাজানো রয়েছে গাঁজার প্যাকেট। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশের অভিযান দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থেকে বীরভূমের দুবরাজপুরের দিকে যাচ্ছিল গাঁজা বোঝাই ওই ট্রাকটি। পুলিশ গাড়ির চালক শুভঙ্কর ও সহায়ক অভিজিৎকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ট্রাকের মালিকের নাম রাজু। আটক দুই যুবক জানিয়েছে, তাঁরা জানত না ওই পেটিগুলির নীচে গাঁজার প্যাকেট রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এর আগে এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র সিনেমায় দেখা গিয়েছে। বাস্তবে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, তা তাদের কল্পনার বাইরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রানিগঞ্জের বিডিও শুভদীপ গোস্বামী। রানিগঞ্জ থানার পুলিশ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। আটক দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারচক্রের নাগাদ পাওয়া চেষ্টা করছে পুলিশ।