উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড লাগানো গাড়ি করে পাচার হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে মঙ্গলজোন এলাকার একটি ধাবার সামনে। সেই সময় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কোচবিহার থেকে একটি গাড়ি বারাসাতের দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ সেই গাড়িটি আটকায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় চারটি বস্তা। সেই বস্তার মধ্যে রাখা ছিল গাঁজা। মাপার পর দেখা যায়, বস্তাতে মোট ১২০ কেজি গাঁজা রয়েছে। গাড়ির চালক তথা মালিক অনিল চন্দ্র দে’কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তের বাড়ি কোচবিহারে। প্রাথমিক জেরায় তিনি স্বীকার করেন, কোচবিহার থেকে এই বস্তাগুলি নিয়ে তিনি বারাসাতের দিকে যাচ্ছিলেন। এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি বস্তাগুলি কোচবিহার থেকে কিনেছিলেন।
সাংবাদিকরা অভিযুক্তের কাছ থেকে জানতে চায়, উত্তরে গাড়ির মালিক জানায় গাড়িতে সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের বোর্ড লাগানো কেন? উত্তরে তিনি জানান, গাড়িটি উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে। গাড়িটি কোচবিহার থেকে নিয়ে আসার সময়, বোর্ডটি খুলতে তিনি ভুলে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, এই গাঁজা পাচার চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত। কোথায়, কার কাছে গাঁজার বস্তাগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সরকারি বোর্ড লাগিয়ে এর আগেও এভাবে গাঁজা পাচার হয়েছে কি না– এসব পুলিশ খতিয়ে দেখতে চাইছে।
রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের বিডিও সুবীর দাস ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘গাড়ি থেকে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। গাড়ির মালিক ধরা পড়েছে। সে স্বীকার করেছে কোচবিহার থেকে গাঁজার বস্তাগুলি নিয়ে আসছিল। কোথায় যাচ্ছিল, সেটি তদন্তের বিষয়। তবে যে চালানটি কাটা হয়েছে, সেখানে রঘুনাথগঞ্জের একটি সংস্থার নাম উল্লেখ রয়েছে। সেটির সত্যতা যাচাই করা হবে। গাড়িটিতে সরকারি বোর্ড লাগানো ছিল। খতিয়ে দেখতে হবে, গাড়িটি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাকি, সরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলস বোর্ড লাগিয়ে এভাবে গাঁজা পাচার চলতো।’