ট্যাব কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক

ট্যাব ক্যাণ্ডে পুলিশের জালে আরও এক। সোমবার মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম শাহজাহান আলম। ধৃতকে সোমবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মালদহ জেলার বেশ কয়েকটি স্কুলে ট্যাব দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছিল। তার মধ্যে অন্যতম হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুল। এই স্কুলের ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যায়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা জেলায় শোরগোল পড়ে যায়। প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানা এলাকা থেকে মোবারক হোসেন নামে এক যুবককে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একাধিক সিম, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ এবং মোবাইল। পুলিশের দাবি, সরকারি পোর্টাল হ্যাক করে মোবারক টাকা লোপাট করত।


মোবারককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পায় পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় মোবারকের দাদা শাহজাহান আলমকে। কনুয়ার রানীকামাত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার জানান, এর আগে ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার দাদাকে ধরা হল। ধৃতকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ব সূত্র মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০২১ সাল থেকে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় এতদিন শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হত। এবার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও এই প্রকল্পের আওতায় যুক্ত করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষই যোগ্য পড়ুয়াদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের তালিকা তৈরি করে শিক্ষা দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

সেই তালিকার ভিত্তিতেই ট্যাবের টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকউন্টে জমা পড়ে। যদিও এবছর অনেক পড়ুয়া অভিযোগ করেন, তাদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের কোনও টাকাই ঢোকেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে মালদহের ১৯৩ জন পড়ুয়ার ট্যাবের ১০ হাজার টাকা ভিন্ন অ্যাকাউন্টে পৌঁছয়। সে অ্যাকাউন্টের উপভোক্তাদের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ।