এ বছর কবে বিশ্বকর্মা পুজো? এই দিন কেন ঘুড়ি ওড়ানো হয় জানেন?

আর প্রায় ১ মাস পরেই দুর্গাপুজো। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। কিন্তু দুর্গাপুজোর ফাইনাল কাউন্টডাউন বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকেই শুরু করেন বাঙালিরা। তিনি সৃষ্টি করেছিলেন এই বিশ্বের। তাই তিনি বিশ্বকর্মা। প্রতি বছরই ভাদ্র মাসের শেষ তারিখ বিশ্বকর্মা পুজো হয়। ইংরাজি ক্যালেন্ডারে বেশিরভাগ সময়ই ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখেই এই পুজো পড়ে। এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও বিশ্বকর্মা পুজো ১৭ সেপ্টেম্বর পড়েছে। এদিন আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি প্রচলিত আছে।

ভাদ্র মাসের শেষ তারিখ অর্থাৎ ৩১ ভাদ্র কন্যা সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মা পুজো পড়ে। এই ভাদ্র সংক্রান্তির আগেই বাংলা পঞ্জিকায় ৫ মাসের উল্লেখ করা থাকে। এই ৫ মাসের মধ্যে যদি কোনও একটি মাস ২৯ বা ৩২ দিনের হয় তাহলে বিশ্বকর্মা পুজোর তারিখ একদিন এগিয়ে বা পিছিয়ে যায়।

হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস রযেছে, ভগবান বিশ্বকর্মা হলেন পৃথিবীর প্রথম ইঞ্জিনিয়র। তিনি এই গোটা ব্রক্ষ্মাণ্ডের নক্সা তৈরি করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকাও নাকি তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন দোকান, কারখানায় প্রতিবছর নিয়ম মেনে এই পুজো হয়ে থাকে। মূলত কারিগরী শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই পুজো করেন। এছাড়া অনেক বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়।


এই পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথাও রয়েছে। এদিন সকাল থেকেই আকাশে রংবেরঙের ঘুড়ি দেখা য়ায। এসব ঘুড়ির রয়েছে আবার বিভিন্ন নাম। কোনওটির নাম পেটকাটি, কোনওটিকে ডাকা হয় চাঁদিয়াল নামে। কোনওটির নাম আবার ময়ূরপঙ্খী। কথিত আছে, ভগবান বিশ্বকর্মা ঈশ্বরদের জন্য উড়ন্ত রথ তৈরি করেছিলেন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সেই রথের কথাই স্মরণ করা হয়। তাই আকাশে ওড়ানো হয় ঘুড়ি। ১৮৫০ সাল থেকে বাংলায় শুরু হয় এই প্রচলন। নিজের অর্থ ও প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য এখানকার ব্যবসায়ীরা ঘুড়ির সঙ্গে টাকা বেঁধে আকাশে ওড়াতেন। আবার অনেকে টাকা দিয়েই বানিয়ে ফেলতেন ঘুড়ি। এছাড়াও বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর অনেক কারণ লোকমুখে প্রচারিত আছে।