শঙ্করদেবের  জীবনদর্শন নিয়ে গবেষণা হবে বিশ্বভারতীতে

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী স্থাপনার সময়ে এবং তার পূর্ববর্তী  সময়েও শান্তিনিকেতনে যে তপোবন সাধনার দ্বার উন্মোচন করেছিলেন, তা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত। এখানকার কাঁকুড়ে মাটির ছাতিমতলায়  একদা কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির মহর্ষি  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি। আর মহর্ষির এই ভাবনাকে পূর্ণতা দিয়েছিলেন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথের সেই ভাবনার সঙ্গে এবার একাত্ম হতে অসম সরকার অসমের ভক্তি আন্দোলন  এবং অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক  শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নামে  ‘চেয়ার’  বা সাম্মানিক অধ্যাপক পদ স্থাপনের জন্য বিশ্বভারতীর সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে।

অসমের দিসপুরে রাজ্য সচিবালয় ‘জনতা ভবন’-এ  বিশ্বভারতীর আধিকারিক ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেণ্ড-র উপস্থিতিতে এই মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এজন্য অসম সরকার বিশ্বভারতীকে আগেই পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছে। প্রয়োজনে অসম সরকার এবাবদ আরও অর্থ বিশ্বভারতীকে দিতে পারে বলে  মনে করা হচ্ছে।


জানা যাচ্ছে,  অসম সরকার  ২০১৮ সালে বিশ্বভারতীকে ওই ‘চেয়ার’-এর জন্য  পাঁচ কোটি টাকা দিলেও,  সেই সময় অসমে  অভ্যন্তরীণ কিছু আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় অসম সরকার এই মৌ স্বাক্ষর করতে পারেনি। এবার সেই মৌ স্বাক্ষরিত হলো। এবার বিশ্বভারতীতে  অসমের ভক্তি আন্দোলন এবং অসমে বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক  শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের বিষয়ে অধ্যাপক নিয়োগ করা হবে এবং  এর ফলে শঙ্করদেবের  জীবনদর্শন, তাঁর অবদান নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা।