হাথরস কান্ডের জের, তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা নিয়ে সর্তক প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্টে বিপর্যয়ের পর এই রাজ্যের তারকেশ্বর মেলা নিয়ে চিন্তা অনেকেরই , ১০ লাখ ভক্তের জন্য বিশেষ ভাবনা প্রশাসনের তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা শুরু হয় গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে। শেষ হয় রাখি পূর্ণিমায়। এ বার মেলা শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই রবিবার। ১৯ অগস্ট পর্যন্ত তা চলবে।হাথরসে পদপিষ্টে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর হুগলির তারকেশ্বরের মেলা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। বিপর্যয় এড়াতে এ বার একগুচ্ছ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে চলেছে তারকেশ্বর পুরসভা ও ব্লক প্রশাসন।

তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা শুরু হয় গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে। শেষ হয় রাখি পূর্ণিমায়। এ বার মেলা শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই রবিবার। ১৯ অগস্ট পর্যন্ত তা চলবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে তারকেশ্বর মন্দিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসের শনি, রবি ও সোমবার তিলধারণের জায়গা থেকে না তারকেশ্বর শহরে। ওই দিনগুলিতে ভক্তদের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সেখানে কোনও বিপর্যয় এড়াতে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বার মন্দিরে প্রবেশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। মোতায়েন থাকবে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও দমকল। স্বাস্থ্য শিবিরের সংখ্যাও বাড়ানো হবে এ বার। প্রতি বছরই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয় নজরদারির জন্য। সেই সংখ্যাটাও বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার তারকেশ্বর পুরসভার সভাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তারকেশ্বর পুরসভা, ব্লক প্রশাসন ও রেলের আধিকারিকেরা। পুরসভা সূত্রেও খবর, যানজট রুখতে তারকেশ্বর শহরের বাইরে বাস ও অন্যান্য গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতি দিন ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলের সরবরাহ ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান পুরপ্রধান উত্তম কুন্ডু। মন্দির কর্তৃপক্ষকেও সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। তারকেশ্বর ব্লকের বিডিও সীমা চন্দ্র বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলা উপলক্ষে যে নির্দেশ দেওয়া হবে, সেটাই মেনে চলা হবে। যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়।’’