৩৭-এ পা দিলেন অরিজিৎ সিং
নিজস্ব প্রতিনিধি— দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং- এর জন্মদিন আজ ২৫ এপ্রিল৷ ১৯৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে তাঁর জন্ম হয়৷ এ বছর ৩৭ এর কোটায় পা দিলেন তিনি৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর উপস্থিতি বিরাজমান৷ সকাল থেকেই অজস্র শুভেচ্ছাতে ভরে উঠেছে তাঁর টাইমলাইন৷ তাঁর কন্ঠের জাদুতে মুগ্ধ আধুনিক প্রজন্ম থেকে শুরু করে প্রবীণ মানুষেরা৷ তিনি গান ধরলে আবেগে ভেসে যান অনুরাগীরা৷ এমনকি বিদেশের মাটিতেও তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে৷ সারাবছর ধরে দেশে বিদেশে তাঁর বিভিন্ন প্রোগ্রাম চলতে থাকে৷ কিন্ত্ত এত জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও অরিজিৎ সিং একেবারে মাটির মানুষ৷ না আছে কোনও নামীদামি পোশাক পরে শো অফ, না আছে এত বড় স্টার হওয়ার কোনও তারকা সুলভ অভিব্যক্তি৷ বরং প্রচারের আলো ও ফিল্মি দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন তিনি৷ মুর্শিদাবাদে একেবারে সাধারণ পোশাক পরে নিজের স্কুটি করে ঘুরে বেড়ান তিনি৷ কিন্ত্ত আপনি জানলে চমকে যাবেন এত সাধারণভাবে জীবনযাপন করা অরিজিৎ সিং-এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির গায়ক অরিজিৎ সিং৷ তাঁর বার্ষিক আয় ৭২ কোটি টাকা এবং মাসিক আয় ৬ কোটি টাকা৷ স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে নিজের জন্মভূমিতে থাকলেও স্বপ্ননগরী মুম্বাইতে তাঁর ৪ টি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা৷ এছাড়াও বেশ কয়েকটি নামীদামি বিদেশি গাড়ির মালিক তিনি৷ সেই তালিকায় রয়েছে একটি রেঞ্জ রোভার, একটি হামার এইচ ৩, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ৷ এক একটি বলিউডের গান করার জন্য তিনি প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন৷ এছাড়া লাইভ শো পিছু যে পারিশ্রমিক নেন তাও প্রায় কোটির উপরে৷
উল্লেখ্য, অরিজিৎ সিং ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া গায়কদের মধ্যে একজন৷ কিন্ত্ত জিয়াগঞ্জ থেকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক হওয়ার রাস্তাটা এতটাও সহজ ছিল না তাঁর৷ রিয়্যালিটি শো ‘ফেম গুরুকুলের’ পার্ট হয়েও সেরা হতে পারেননি তিনি৷ এখন সেই গায়ক-ই পুরো ভারত তথা বিশ্ব জুড়ে তাঁর সুরের মাধুর্যে সকলকে মাতিয়ে রেখেছেন তিনি৷ শুধু গায়ক নন, অরিজিৎ সিংহ এখন অনেকের কাছেই আবেগের নাম৷
যদিও এত বিপুল পরিমাণ অর্থের বেশিরভাগটাই তিনি খরচ করেন সমাজকল্যাণমূলক কাজে৷ তাঁর নিজস্ব একটি স্বেচ্ছাসেবী সংঘ রয়েছে৷ জিয়াগঞ্জে উন্নত হাসপাতাল করার পরিকল্প না রয়েছে অরিজিতের৷ মুর্শিদাবাদে অতিমারীর সময়ে অর্থ সাহায্য করেন তিনি৷ এছাড়াও তাঁর উপার্জনের একটি বড় অংশ জিয়াগঞ্জের হাসপাতালের উন্নয়নে, দুস্থ শিশুদের হার্টের চিকিৎসায় এদং বাকিটা গানের স্কুল নির্মাণের কাজে ব্যয় করেন৷ জিয়াগঞ্জে বিনামূল্যে ইংরেজি শিক্ষার কোচিংও খুলেছেন তিনি৷ এছাড়াও প্রায় সবসময়ই সামাজিক কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে নিযুক্ত থাকেন তিনি৷আসলে স্বার্থ নয় সার্বিক উন্নয়নই অরিজিতের একমাত্র লক্ষ্য৷