• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ফেসবুকেই আলাপ! নবদ্বীপের যুবককে বিয়ে করতে ব্রাজিল থেকে ছুটে এলেন তরুণী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী পারে, আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’ – এ যেন সিনেমায় দেখা রূপকথার কাহিনী বাস্তবে ফিরে এলো। প্রেম যেন কোনওকালেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। মিয়া, বিবি রাজি হলেই যত বাধা থাক বিয়ে পরিণতি পাবেই। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেই রূপকথাকে সত্যি প্রমাণ করে দিল। নদীয়ার নবদ্বীপের যুবক কার্তিক মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী পারে, আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’ – এ যেন সিনেমায় দেখা রূপকথার কাহিনী বাস্তবে ফিরে এলো। প্রেম যেন কোনওকালেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। মিয়া, বিবি রাজি হলেই যত বাধা থাক বিয়ে পরিণতি পাবেই। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেই রূপকথাকে সত্যি প্রমাণ করে দিল। নদীয়ার নবদ্বীপের যুবক কার্তিক মণ্ডল সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন সুদূর ব্রাজিলের এক তরুণীর সঙ্গে। সেজন্য প্রেমের টানে সুদূর ব্রাজিল থেকে নবদ্বীপের ফরাসডাঙার গ্রামে চলে এসেছেন ম্যানুয়েলা অ্যালভেস দা সিলভা। তাঁকে দেখতে কার্তিকদের বাড়িতে গ্রামবাসীদের ভিড় জমছে প্রতিদিন। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলা ভাষাকে রপ্ত করতে চাইছেন ম্যানুয়েলা। এজন্য তিনি প্রতিবেশী ও কার্তিকের আত্মীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। ঘটনা জানার পর পাত্র ও পাত্রীর উভয় পরিবারের সম্মতিও মিলেছে। আগামী শুক্রবার হিন্দুশাস্ত্র মতে কার্তিক মণ্ডলের ফরাসডাঙার বাড়িতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন তাঁরা। এই বিয়ের জন্যই এক সপ্তাহ আগে ফরাস ডাঙায় চলে আসেন ব্রাজিলের তরুণী ম্যানুয়েলা।

জানা গিয়েছে, কার্তিক ও ম্যানুয়েলার সম্পর্ক দীর্ঘ ছয় বছরের। প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে কার্তিকের সঙ্গে ম্যানুয়েলার আলাপ হয়। পরে হোয়াটস্যাপ-এ দুজনের কথাবার্তা শুরু হয়। এভাবে একে অপরের মনের আদানপ্রদান শুরু হয়। পরস্পরকে ভালোবাসে ফেলেন কার্তিক ও ম্যানুয়েলা। এভাবে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে তাঁদের ভার্চুয়াল প্রেম চলে। অবশেষে সেই দু’জনের অজানা প্রেম বিবাহের পরিণতি পেতে চলেছে। কার্তিক পেশায় একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। তিনি সুরাতে একটি ওষুধের দোকান চালান। তাঁর বাবা দিলীপ মণ্ডলও গ্রামের একজন হাতুড়ে চিকিৎসক। রীতিমতো ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করছেন কার্তিকের বাবা দিলীপবাবু। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর ছেলের বিয়েতে।