• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তাইতো রোজই গান বেঁধে যান সঞ্জয়

দেবব্রত রায় চৌধুরী সময়টা ছিল ১৯৯২ সালের ইংরেজির এপ্রিল কিংবা মে মাস৷ দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোডে়র ঠিক পাশেই আশুতোষ কলেজ থেকে একটি ছেলে নিজের কলেজের শেষে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে লাফিয়ে উঠে পড়ল একটা সরকারি বাসে৷ গন্তব্য? যত তাড়াতাডি় সম্ভব প্রাইভেট টিউশন পড়াতে যাওয়া৷ তারপর একের পর এক টিউশন সেরে, রাত ১১টারও পরে

দেবব্রত রায় চৌধুরী

সময়টা ছিল ১৯৯২ সালের ইংরেজির এপ্রিল কিংবা মে মাস৷ দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোডে়র ঠিক পাশেই আশুতোষ কলেজ থেকে একটি ছেলে নিজের কলেজের শেষে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে লাফিয়ে উঠে পড়ল একটা সরকারি বাসে৷ গন্তব্য? যত তাড়াতাডি় সম্ভব প্রাইভেট টিউশন পড়াতে যাওয়া৷ তারপর একের পর এক টিউশন সেরে, রাত ১১টারও পরে বাডি় ফেরা৷ তারপর, কোনও রকমে হাত মুখ ধোয়া৷ ততক্ষণ তাঁর অসুস্থ মা অপেক্ষা করছেন ছেলেটির পথ চেয়ে৷

মা-কে জডি়য়ে ধরে সারাদিনের কথা বলা৷ সঙ্গে একসাথে রাতের খাবার খাওয়া৷ তারপর এক মূহুর্তও সময় আর নষ্ট না করে নিজের পড়াশোনা নিয়ে বসে পড়া৷ তাঁরই সঙ্গে চলত সারাদিনের লড়াইয়ের কিছু কিছু মূহুর্তকে নিজের কলমে কবিতা বা গানের আকারে বন্দি করা৷

কখনও কখনও ভোরের ঠান্ডা পরিবেশে তাঁর ক্লান্ত শরীরে জডি়য়ে আসত বহু দিনের জমে থাকা ঘুম৷ চোখ জুডে় যেত ঘুমের দেশে পাডি় দেওয়ার ইচ্ছায়৷

হ্যাঁ, এমন করেই ছোটবেলা পিতৃবিয়োগের পর থেকেই চলেছে সেই ছেলেটির জীবনের বেঁচে থাকার লড়াই৷
সেই বিশ্রামহীন লড়াকু ছেলেটি আর কেউ নন, আজকের বাংলা আধুনিক গানের সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়৷ যিনি একাধারে যেমন অনায়াসে লিখে ফেলেন গানের কথা, পাশাপাশি তৈরি করে ফেলেন মন ভরানো সুর৷

ছোটবেলা তাঁর প্রতিদিনের লড়াইয়ের মুহূর্তগুলোকে কলমে বন্দী করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র অবকাশে নিজের মায়ের কাছে গান শেখা শুরু৷ তারপর নিজের গান তৈরির আগ্রহে পৌঁছে যান নিজের মায়ের গানের শিক্ষকের কাছে৷ শুরু হয় সঙ্গীত শিক্ষার আর এক অধ্যায়৷ গান তৈরীর মূল মন্ত্রগুলোর শিক্ষা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করতে থাকেন তাঁর স্বরচিত বাংলা গানেদের৷

তাঁর গান বর্তমান সময়ে ক্রমশ সঙ্গীতপ্রেমী ও শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ আজ তাঁর গানের ঝুলিতে কম বেশি ১৫০-এরও বেশি গানের সম্ভার৷ দিন দিন তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
আজ নতুন বাংলা গানের এক নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত মুখ সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁর গানে খুঁজে পাওয়া যায় জীবনের বিভিন্ন স্বাদ যা প্রতিটা মূহুর্তের ভালোলাগা, কষ্ট, দুঃখ, প্রেম ও স্মৃতির৷