ধানবাদের তৎকালীন পুলিশ সুপার রণধীরপ্রসাদ বার্মা ও আইআইটি (আইএসএম)-এর কর্মী শ্যামল চক্রবর্তীকে ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে আসা উগ্রপন্থীরা গুলি করে হত্যা করেছিল। তাঁদের এই মৃত্যু দিনটিকে প্রতিবছর শহিদদিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবার ছিল রণধীর প্রসাদ বার্মার ৩৪ তম শহিদ দিবস। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গোয়ার।
অন্য দিকে শহিদ শ্যামল চক্রবর্তীর শহিদদিবস অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সমাজসেবী দয়ামনি বারলা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তনবিধায়ক পূর্ণিমা নীরজ সিংহ। সমিতির সভাপতিসহ প্রাক্তন বিধায়ক আনন্দ মাহাতো ও সমিতির সেক্রেটারি সমীর গোস্বামী পূর্ণিমা নীরজ সিংহকে স্মারক ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন।
ধানবাদ থেকে অজয় মুখোপাধ্যায় আরও জানান, ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গওয়ারকে শহিদ রণধীর প্রসাদ বার্মার স্ত্রী অধ্যাপক রীতা বার্মা পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন। রাজ্যপাল শহিদবেদীতে পুষ্প দিয়ে সম্মান জানান শহিদ রণধীর প্রসাদ বার্মাকে।
উল্লেখ্য, শ্যামল চক্রবর্তী স্মারক সমিতি ও সিপিআইএমএল-এর সংযুক্ত তত্বাবধানে এক অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল। বেশ কিছু দিন আগে শহিদ শ্যামল চক্রবর্তী আইএসএম গেটে মূর্তি বসানো হয়। ওই মূর্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ‘দৈনিক স্টেটসম্যান’-এর প্রাক্তন সম্পাদক মানস ঘোষ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, শহিদ রণধীর প্রসাদ বার্মা সরকারি সম্মান পেলেও আজও সরকারি সম্মান থেকে বঞ্চিত শহিদ শ্যামল চক্রবর্তী। সমিতির অভিযোগ, না রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সম্মান শহীদ শ্যামল বাবুকে দেওয়া হল, আর না তো কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে তিনি কোনও সম্মান পেলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ বিশিষ্ট সমাজসেভি দয়ামনি বারলা বলেন, সরকারে এই রকম নীতি থাকলে কোনও সাধারণ নাগরিক সরকারি সম্পত্তি বাঁচাতে আর এগিয়ে আসবে না।