রিদম অ্যাকাডেমির বার্ষিক অনুষ্ঠান

নিজস্ব চিত্র

তবলা মায়েস্ত্রো পন্ডিত সুজিত সাহার স্থাপিত সংস্থা রিদম অ্যাকাডেমি অব মিউজিক। সম্প্রতি যাদবপুরের ডঃ ত্রিগুণা সেন মঞ্চে হয়ে গেল সংস্থার তেতাল্লিশতম বার্ষিক উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলন।

ছাত্রদের তবলা-ঢাক-ঢোল-কাঁসরের সমবেত পরিবেশনা দিয়ে আসরের শুরু হয়। অংশগ্রহণকারী:- রুদ্রজিৎ ভুঁইঞা (বেহালা), সপ্তর্ষি চৌধুরী, পরমেশ্বর পাইক, সৌণক গেরা, সৃজয় চক্রবর্তী, রিতজিত সাহা, নীলান বসু, সরোশিস কর্মকার, রুশাঙ্ক ঘোষ, দেবজিৎ মাইতি, নীহার মজুমদার, আলেখ্য দাস পট্টনায়ক, নীলাঞ্জন দত্ত…। এই কিশোরদের সঙ্গে শুরুতেই পরিচয় করালেন পণ্ডিত সুজিত সাহা নিজে। এরা উপহার দেয় মনোজ্ঞ তালবাদ্য উপস্থাপনা। এরপর শুরু হয় বড়দের অনুষ্ঠান।

কন্ঠশিল্পী অর্জুন রায় গাইলেন রাগ পুরিয়া ধানেশ্রী। তিনলয়ের তিনখানি বন্দিশ দিয়ে তার পরিবেশনাকে সাজান; তবে প্রত্যাশা সেভাবে পূরণ হলো না। পরে একটি ভজন গেয়ে শোনান । সুরজিৎ সাহা ও সূরজ শর্মা ছিলেন তবলা ও হারমোনিয়াম সহযোগে । মাইহার ঘরানার সুবিখাত বংশীবাদক পণ্ডিত নিত্যানন্দ হলদিপুর ছিলেন এই সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ। রাগ দেশ দিয়ে শুরু করেন। আলাপ সংক্ষিপ্ত, তারপর বিলম্বিত গত (একতাল) এবং মধ্য ও দ্রুত গত ছিল ত্রিতালে। ভীষণভাবে উপভোগ্য এই বাজনার শেষ হয় গারা – কাফি রাগ আশ্রিত ধুনে। তবলায় ছিলেন পণ্ডিত সুজিত সাহা। শেষ পর্বে ছিল আরেকটি যন্ত্রের পরিবেশনা। শুভ্রাংশু ভট্টাচার্য বেহালাতে রাগসংগীত উপস্থাপন করেন। একে একে শোনান দুর্গা, হংসধ্বনি, মিশ্র পিলু। শেষ করেন ভৈরবী বাজিয়ে। তবে এই বাজনায় হিন্দুস্তানি আর পশ্চিমী শৈলি ঘুরে ফিরে আসছিল। তবলায় ছিলেন কৃষ্ণেন্দু পাল, হারমোনিয়ামে সুরজ শর্মা।