সেবাধর্মে উৎসর্গিত কোনও প্রতিষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক কাম্য নয়

বরুণ দাস

কাম্য নয় বটে, কিন্ত্ত রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে৷ নির্বাচন চলাকালীন সময় বলেই বিষয়টা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সম্ভবত৷ যার কেন্দ্রবিন্দুতে ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙ্গা শাখার অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ৷ বিশেষ করে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে একাধিকবার তাঁর অভিযোগ প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে যেভাবে উগরে দিচ্ছেন, উপস্থিত জনতার দ্বারা স্বীকৃতি আদায় করে নিচ্ছেন, এমনকি, কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা গোপন করছেন না, তাতে মাত্রাতিরিক্ত আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে৷
যে কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে৷ কিন্ত্ত তার একটি সাংবিধানিক পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে৷ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখবেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কারও কোনও আপত্তি নেই৷ আপত্তি থাকার কথাও নয়৷ কারণ আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নই৷ আমাদের পবিত্র সংবিধানে সেরকমই উল্লেখ আছে৷ তিনি সাধারণ কিংবা অসাধারণ নাগরিক কিংবা যে কোনও সংগঠনের প্রতিনিধিত্বই করুন না কেন৷ এটাই সুস্থ ও স্বাভাবিক পদ্ধতি৷

কিন্ত্ত কেবল দলীয়সূত্রে পাওয়া কোনও অভিযোগ আইনিপথে প্রমাণের আগেই প্রকাশ্য নির্বচনী মঞ্চে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি ‘কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুমকি সুস্থ গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়৷ বিশেষ করে তিনি যদি রাজ্যের রাজ্যের শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সুপ্রিমো সহ প্রশাসনিক প্রধান হন৷ প্রথামাফিক বিচারের আগেই কাউকে দোষী সাব্যস্ত করাটাও অনুচিত৷ এক্ষেত্রে যেটা হয়েছে৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে৷ সুতরাং তাঁর কথার ধার ও ভার অর্থাৎ গুরুত্ব অপরিসীম একথা সবাই কমবেশি জানেন৷


আর জানেন বলেই ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙ্গা শাখার সংশ্লিষ্ট কার্তিক মহারাজই নন, ওই সংঘের সেবক-ব্রহ্মচারী-সন্ন্যাসী-কর্মী সহ সংঘের আপামর ভক্ত-শুভানুধায়ী-পৃষ্ঠপোষকরাই আজ ভীষণভাবে আতঙ্কিত৷ খবরে প্রকাশ, এই সম্ভাব্য আতঙ্ক থেকেই অভিযুক্ত কার্তিক মহারাজ রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ এমন পরিস্থিতি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না রাজ্যের সিংহভাগহ মানুষ৷ তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিষয়টি মূলধারার মিডিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রচার করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সম্মাননীয় প্রতিনিধিরা তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও আলোচনার আসরে যোগ দিয়ে নিন্দামন্দে সরব হয়েছেন৷ শাসকদলের প্রতিনিধিরা বাদে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোার করে চলেছেন৷ বিরোধী রাজনীতিকরা বিষয়টিকে নিয়ে নির্বাচনে ফায়দা তোলার যথাসাধ্য চেষ্টাও করছেন৷ অর্থাৎ, প্রতিবাদের আড়ালে রাজনীতিকরণের সুযোগ নিতে অনেকেই বেশ ব্যস্ত৷

রাজ্য কংগ্রেসের ডাকাবুকো কান্ডারী তথা দলের লোকসভার নেতা শ্রীযুক্ত অধীর চৌধুরির যে ঢালাও প্রশংসা করেছেন অভিযুক্ত কার্তিক মহারাজ, সেই অধীর চৌধুরিও তাঁর বিরোধীপক্ষের রাজনীতিক মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের সঙ্গেই সুর ও স্বর মিলিয়ে অভিযোগের সারবত্তাকে মেনে নিয়েছেন৷ কার্তিক মহারাজের কাছে এটা একটা বড় ধাক্কা বটে৷ যদিও অনেকেই কমবেশি জানেন, দলমত নির্বিশেষে আজকের অধিকাংশ রাজনীতিকরাই তাদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য যে কোনও ভূমিকায়ই অবতীর্ণ হতে পারেন৷

কিংবা প্রয়োজনে যে কাউকেই ‘ব্যবহার’ করতে পারেন৷ এটা কথার কথা নয়, এটা তাঁরা প্রমাণ করেছেন৷ বিভিন্ন সময়ে নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে৷ দলীয় স্বার্থের বাইরে তাদের অনেকেই এক পাও ফেলতে নারাজ৷ দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক অবক্ষয় আমাদের আর বিশেষ অবাক কিংবা বিস্মিত করে না৷ কেন করে না? আসলে জলের সঙ্গে মাছের যে নিবিড় সম্পৃক্ততা, রাজনীতিকদের সঙ্গে মিথ্যে আর অনৈতিকতার ঠিক একই সম্পৃক্ততা— এমনই অভিমত গড়পরতা এদেশের অনেকেরই৷ একে আজ কোনওভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই৷

এবার আসা যাক ভারত সেবাশ্রম সংঘের কথায়৷ এই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সেবাপ্রতিষ্ঠানের কর্মযজ্ঞ দিয়ে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কারণ শুধু বাংলার মানুষ নন, গোটা দেশের মানুষই জানেন, এঁরা শতাধিক বছর ধরে কী পরিমাণে সেবাকাজ করে চলেছেন৷ জানেন গোটা বিশ্বের মানুষও৷ কারণ ভারতের বাইরেও এঁরা সেবাধর্মের মতো মহতি কর্মযজ্ঞ নিরলসভাবে করে চলেছেন সংঘের পথচলার প্রায় শুরু থেকেই৷ যেখানে জাতিধর্মবর্ণের কোনও বেড়া বা ভেদাভেদ নেই৷ সংঘের বেলডাঙ্গা শাখার ক্ষেত্রেও যা সমানভাবেই প্রযোজ্য৷ অনেকেই কমবেশি জানেন, মুর্শিদাবাদ জেলা সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা৷ সংঘের বেলডাঙ্গা শাখাটি এই জেলারই সংখ্যালঘু প্রধান একটি অঞ্চলে অবস্থিত৷ এখানের প্রায় সত্তর-আশি শতাংশ মানুষই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের৷ দেশজুড়ে স্বাধীনতার তথা ‘আজাদি কা অমৃত উৎসব’ উদযাপন হলেও যাদের আর্থিক অবস্থানে তেমন কোনও পরিবর্তনই আসেনি৷ রোজগারের কোনও পাকা ব্যবস্থা নেই৷ কিছু ধনী ব্যক্তি থাকলেও অভাবকে নিত্যসঙ্গী করে কোনওরকমে টিকে আছেন এখানকার অধিকাংশ মানুষ৷ বেঁচে থাকা নয়, টিকে থাকা৷

অভাবে পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলেই প্রায় পাঁচ দশকের ওপর অভাবী মানুষের মধ্যে সেবাকাজ করে চলেছেন অভিযুক্ত কার্তিক মহারাজ৷ এছাড়া এই জেলার আরও চারটি শাখারও প্রধান কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ৷ যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সেবাকার্য ছাড়াও এই শাখা সংঘের পরিচালনায় ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে৷ যেখানে ছাত্রছাত্রীদের সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের৷ সুতরাং সংখ্যালঘু-বিদ্বেষী ‘একটা লোক’ হিসেবে তাঁকে দেগে দেওয়া কোনওভাবেই ঠিক নয়৷ বিশেষ করে সংঘের বেলডাঙ্গা শাখার অধ্যক্ষের ক্ষেত্রে৷ এর ফলে ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো আন্তর্জাতিক মানের একটি অসাম্প্রদায়িক সেবাসংঘের সাবেকি সুনাম বিনষ্ট হতে বাধ্য, যা কখনও কাম্য নয় কোনও প্রশাসনিক প্রধানের কাছ থেকে৷ কেউ যদি ‘ভুল’ করে থাকেন কিংবা ‘অপরাধ’ করে থাকেন, তাহলে রাজ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে তাঁকে প্রথমে শুধরে দেওয়া প্রয়োজন এবং তাতে কাজ না হলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে৷ কিন্ত্ত প্রকাশ্যসভা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিষোার করা বাঞ্ছনীয় নয়৷ তাহলে জনরোষ তৈরি হয়ে আক্রান্ত হতে পারে সংঘের শাখাটি৷

এমনকি, যে কোনও সময় আক্রান্ত হতে পারেন প্রকাশ্যে দেগে দেওয়া সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধান৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারেন শাসক দলের সাধারণ মারমুখী সদস্যরা৷ তাদের সঙ্গে সুযোগসন্ধানী স্থানীয় দুষ্কৃতীরাও অংশ নিলে এক অনাকাঙ্খিত অরাজকতা আর নৈরাজ্যের জন্ম দেবে৷ এর ফলে ক্ষতি শুধু ওই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটিরই নয়, ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে গোটা রাজ্যেরও৷ যা মোটেও কাম্য নয়৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর এদিকটা একবার গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখা বোধহয় দরকার৷সংঘ পরিচালনার জন্য সবার সঙ্গেই সদ্ভাব রেখে চলা অবশ্যই প্রয়োজন৷ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা ভোটের মাধ্যমে যে সরকারই আসুন না কেন, ব্যক্তিগত মতের অমিল থাকলেও (যা সংঘসেবকদের থাকা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়) সংঘের সার্বিক স্বার্থে তাদের সঙ্গেই কাজ করতে হবে৷ প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া সংঘের সেবাকার্য চালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব৷ কিন্ত্ত কখনও কোনওদিকে ঝুঁকে পড়া অনুচিত৷ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি যেমন বিদ্বেষ দেখানো ঠিক নয়, ঠিক তেমনই কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি মাখামাখি দেখানোও অনুচিত৷

কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরির কথায় কিন্ত্ত তেমন ইঙ্গিতই বেশ স্পষ্ট৷ যদিও তা এখনও সত্য বলে প্রমাণিত নয়৷ যদি সত্য হয়, তাহলে অবশ্যই নিন্দার যোগ্য৷ সাধু-সন্ন্যাসীরা কেন বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি অনাকাঙ্খিত ঘনিষ্ঠতা দেখাবেন? প্রয়োজনের বাইরে অতি-ঘনিষ্ঠতায়ই জল ঘোলা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে৷ সুতরাং সংঘের সার্বিক স্বার্থেই তাঁদেরকে অতিরিক্ত সতর্কতার মধ্য দিয়ে চলতে হবে৷ জ্ঞানের সঙ্গে কাণ্ডজ্ঞানকে জুড়ে না দিলেই সার্বিক স্বার্থই তাঁদেরকে অতিরিক্ত সতর্কতার মধ্য দিয়ে চলতে হবে৷ জ্ঞানের সঙ্গে কাণ্ডজ্ঞানকে জুড়ে না দিলেই যত গণ্ডগোল৷ আমরা জানি না, এক্ষেত্রে তেমনটাই হয়তো হয়েছে কিনা৷

শাসক দলের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ সহ তাঁর বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনায় উস্কানি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগও আনা হয়েছে৷ যদিও তিনি দ্বিধাহীনভাবে যাবতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এবং অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে যে কোনও শাস্তিই মাথা পেতে নেবেন বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন৷ সুতরাং প্রকাশ্যে বার বার অভিযোগের আঙুল না তুলে বরং প্রশাসনিক পর্যায়ে অভিযোগ প্রমাণের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ তাহলেই তো সহজেই মিটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা৷

যে দুঃসময়ে মতবাদ নির্বিশেষে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেই রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতা সংক্রামক (পড়ুন মহামারির মতো) ব্যাধির মতো যত্রতত্র ছড়িয়ে গেছে, সেখানে সংঘ পরিচালক হিসেবে কারও (প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর) সমালোচনা বা প্রশংসা থেকে বিরত থাকাটাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ৷ সংঘের সার্বিক স্বার্থেই অকারণে বিরোধ বাড়িয়ে লাভ কী? সন্ন্যাসীদের মূল লক্ষ্যই তো সেবাকাজ৷ তাঁরা কেন নেতা-মন্ত্রীদের প্রসংসা বা নিন্দায় নিজেদেরকে জড়াবেন? পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদেরকে নিরপেক্ষ রাখাটাই সন্ন্যাসীদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত৷

আর একটি কথা বলেই এই উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধের ইতি টানা যাক৷ ‘হিন্দুত্ব’-এর যে সংজ্ঞা ভাজপা ছড়িয়ে দিতে চাইছে, তা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ একই কথা ভাজপা-র অভিভাবক সংঘ পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ এঁরা হিন্দুত্বের সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়েছেন এবং এখনও করে চলেছেন৷ সুতরাং এঁদের থেকে দূরত্ব রেখে চলাটাই প্রকৃত হিন্দুদের পক্ষে মঙ্গলজনক৷ সনাতন ধর্ম নিয়ে চলছে ছেলেখেলা৷ সংকীর্ণতার বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ যে উদারতার কথা সনাতন ধর্ম আছে, তাকে ভুলিয়ে দিচ্ছেন এঁরা৷ পরিশেষে বলা যায়, ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ ভাজপা কিংবা সংঘ পরিবারের হিন্দুত্বকে কখনও মান্যতা দিতেন না একথা বলাই বাহুল্য৷ তিনি হিন্দুজাতির জাগরণ চেয়েছিলেন৷ সে জাগরণে কোনও জাতিবিদ্বেষের অবাঞ্ছিত ছোঁয়া ছিল না৷ ছিল না কোনও বিভেদ-বিভাজনের কিছুমাত্র পঙ্কিল-চিহ্ন৷ কিন্ত্ত আজকের ভাজপা এবং সংঘপরিবার শাসনক্ষমতা তথা দলীয় রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যে নির্বিকল্প নোংরামি করছে তা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷