• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

মেট্রো এবার চলবে জাদুঘরেও

দেশের প্রথম মেট্রো পা রাখছে প্রাচীনতম সরকারি বিজ্ঞান জাদুঘরে নিজস্ব প্রতিনিধি– কলকাতার জীবনরেখা মেট্রো রেলওয়ে ভারতের প্রাচীনতম মেট্রো ব্যবস্থা৷ সময়ের সাথে পা মিলিয়ে ধীরে ধীরে যা নিজেকে বিস্তৃত করেছে এবং বর্তমানে হুগলির মতো এক বড় নদীর নীচে দিয়ে চলাচল করছে৷ সারা ভারতে এমন উদাহরণ আর নেই৷ কলকাতার মতো বড় শহরে এমন সুবিধাজনক ও সস্তা পরিবহণ

দেশের প্রথম মেট্রো পা রাখছে প্রাচীনতম সরকারি বিজ্ঞান জাদুঘরে

নিজস্ব প্রতিনিধি– কলকাতার জীবনরেখা মেট্রো রেলওয়ে ভারতের প্রাচীনতম মেট্রো ব্যবস্থা৷ সময়ের সাথে পা মিলিয়ে ধীরে ধীরে যা নিজেকে বিস্তৃত করেছে এবং বর্তমানে হুগলির মতো এক বড় নদীর নীচে দিয়ে চলাচল করছে৷ সারা ভারতে এমন উদাহরণ আর নেই৷ কলকাতার মতো বড় শহরে এমন সুবিধাজনক ও সস্তা পরিবহণ মাধ্যম আর নেই৷ বর্তমানে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত চালু এই মেট্রো কলকাতা, হাওড়া এবং সন্নিহিত জেলাগুলির মানুষের কাছে পরম আদরের ও ভরসার আর তার সাথে হয়ে উঠেছে সকলের নয়নের মণি৷

কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কলকাতা মেট্রোর ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে দেশের প্রাচীনতম সরকারি বিজ্ঞান ও কারিগরি জাদুঘর বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা (বি.আই.টি.এম) কলকাতা মেট্রোর ক্রমবিবর্তনকে তাঁদের ট্রান্সপোর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত করতে চলেছে৷ বিশ্বে পরিবহণ ব্যবস্থার ক্রমবিকাশকে তুলে ধরা হয়েছে এই গ্যালারিতে৷ গ্যালারিটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে যাবে আগামী ১৮ মে৷ চাকার আবিষ্কার থেকে শুরু করে আজকের বিদু্যৎচালিত গাড়ি অবধি এসে পৌঁছনোর এই সফর গল্প বলার ঢঙে বিভিন্ন ছবি, মডেল ও সংক্ষিপ্ত ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে এখানে, যেখানে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হবে কলকাতা মেট্রোর প্রায় ৪০ বছরের পথ চলার গল্প৷

একদা বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের সম্পত্তি ছিলো বি.আই.টি.এম-এর এই জাদুঘর ভবনটি৷ এই ভবনেরই একদম নিচের তলায় গডে় তোলা হয়েছে এই গ্যালারিটি৷ এখানে আগত দর্শকেরা নদীর নীচে দিয়ে কিভাবে মেট্রো চলাচল করে তা দেখতে পাবেন এক ত্রিমাত্রিক মডেলের সাহায্যে৷ আর একটি ত্রিমাত্রিক মডেলের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনের বিভিন্ন স্তর, ভূপৃষ্ঠের ওপরের স্তর এবং মেট্রোর যাতায়াত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও পুরোনো আলোকচিত্রও স্থান পেয়েছে এই গ্যালারিতে৷ বিশ্বের কোন কোন দেশে মেট্রো চলে এবং সেই মেট্রো কবে চালু হয়েছিল সেই ব্যাপারে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে এই গ্যালারিতে এলে৷ বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও চিত্তাকর্ষক সামগ্রী দিয়ে সাজানো এই গালারিটি দেখে বেরোনোর মুখে দর্শকরা দেখতে পাবেন মেট্রোর পুরোনো টিকিট ও স্মার্ট কার্ড৷ ১৯৫৯ সালে স্থাপিত এই সংগ্রহশালা ফেলে আসা সময়কে ফিরে দেখা ও স্মৃতিমেদুর হওয়ার সুযোগ করে দেবে৷ যা এই জাদুঘরের বাড়তি আকর্ষণ৷

বি.আই.টি.এম-এর ডিরেক্টর এস চৌধুরি এমন একটি গ্যালারির স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে সক্রিয় সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ছবি, নকশা এবং অন্যান্য প্রদর্শন সামগ্রী দিয়ে এই গ্যালারিকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে৷ আগামীদিনে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিজ্ঞানপিপাসু ব্যক্তি, বৈজ্ঞানিক, গবেষক এমনকি মেট্রো যাত্রীদের কাছেও এক আকর্ষক গন্তব্য হতে চলেছে এই গ্যালারি৷ এই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ গ্যালারিতে পা রাখলে অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাস উন্মোচিত হবে তাঁদের সামনে৷ ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হতে চলেছে সে ব্যাপারেও ধারণা পাওয়া যাবে এই গ্যালারিতে এলে৷ আগামীদিনে কলকাতার অন্যতম প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্র হতে চলে চলেছে বি.আই.টি.এম-এর এই গ্যালারি৷