আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হবে গণপতি উৎসব। মহারাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান উৎসব এটি। রাজ্যজুড়ে নানা জায়গায় নানা থিমের প্যান্ডেল করা হচ্ছে, মূর্তিতেও অভিনবত্ব আনা হচ্ছে। কালের নিয়মে পুজো কমিটির আয়োজনেও বদল এসেছে। তবে বদলায়নি মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ের কেশবজি নায়েক চালে গণপতির পুজো। এবার এই পুজোর ১৩২ বছর।
গত ১৩১ বছরে গণপতি বাপ্পায় মূর্তি একই রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাপ্পা পুজোর যে পদ্ধতি প্রথম বছরে গৃহীত হয়েছিল, তা আজও ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করা হয়। এর জন্য একটি আনুষ্ঠানিক সংবিধান রয়েছে। এই চালে বসবাসকারী প্রায় ১ ৫০ পরিবার গণপতি পুজোর জন্য তৈরি এই সংবিধান মেনে চলে।
গণেশ উৎসব কমিটির সেক্রেটারি ওয়ালেকার বলেন, এই প্যান্ডেলটি চালে বসবাসকারী ১৫০টি পরিবার একসঙ্গে আয়োজন করেছে। ১৯৩৫ তৈরি নিয়মবিধি মেনেই আজও পুজো হয় এখানে।
তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত এই সংবিধানে কোনও সংশোধনী আসেনি। এই সংবিধানে পূর্বপুরুষরা শর্ত দিয়েছিলেন যে, এই চালে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবার প্রতি বছর তাদের আয়ের ০.৩ শতাংশ এখানে অনুদান হিসাবে জমা করবে এবং এই অর্থ দিয়ে বাপ্পার উৎসব উদযাপন করা হবে। তারপর থেকে আজও প্রতিটি পরিবার তাদের উপার্জনের এই অংশ দান করে আসছে।
সংগঠনের সেক্রেটারি ওয়ালেকার বলেন, এই প্যান্ডেলের বাপ্পার প্রতিমা একই পরিবারের লোকেরা তৈরি করেছেন। এর জন্য ব্যবহার করা হয় কাদামাটি। মূর্তি তৈরি হলে প্রায় দেড় কেজি সোনা-রূপার গয়না দিয়ে সাজানো হয়। পুরো আয়োজনে ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়।