• facebook
  • twitter
Tuesday, 21 January, 2025

রঙ্গকর্মীর পঞ্চাশ

সালটা ১৯৭৬, দিনটা ১৬ জানুয়ারি, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ঊষা গাঙ্গুলি তৈরি করলেন জাতীয় নাটকের দল রঙ্গকর্মী।

সালটা ১৯৭৬, দিনটা ১৬ জানুয়ারি, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ঊষা গাঙ্গুলি তৈরি করলেন জাতীয় নাটকের দল রঙ্গকর্মী। এবার পঞ্চাশ বছরে পদার্পণ করছে সেই কিংবদন্তি নাটকের দল। ঊনপঞ্চাশ বছরের বেশি সময়ের পথ অতিক্রম নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও, পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং পরিবর্ধন নিয়ে এসেছে নাটকের মাধ্যমে। একটা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে।

কলকাতার নিজের শহর থেকে শুরু করে দেশের তথা আন্তর্জাতিক মঞ্চে রঙ্গকর্মী নাট্য মঞ্চের এক অন্যতম প্রতিভূ হিসেবে গড়ে উঠেছে। দেশের মাটির বাইরে জার্মানি, পাকিস্তান, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে নিজেদের নাটক মঞ্চস্থ করে দর্শকদের সমাদৃত হয়েছে। দর্শক সমাদৃত নাটকগুলোর মধ্যে কোর্ট মার্শাল, রুদালি, চন্ডালিকা, অন্তর্যাত্রা, মাইয়াৎ, বদনাম মন্টো, লোক কথা উল্লেখযোগ্য। বতর্মানে, ঊষা গাঙ্গুলির পদাঙ্ক অনুসরণ করে অনিরুদ্ধ সরকারের তত্ত্বাবধানে, নির্দেশনায় রঙ্গকর্মী তার জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। গল্প যা সামাজিক প্রেক্ষাপট নির্ভর তেমনই নাটক মঞ্চস্থ হয়, চলে কর্মশালা।

পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছর। তাই, এই বিশেষ বছরকে মনে রেখে এক বছর ধরে আয়োজিত হবে‌ নানা ধরনের অনুষ্ঠান। গত ১৬ জানুয়ারি প্রকাশ পেল নিজেদের এই গৌরবময় জার্নির বেশ কিছু স্মরণীয় নাটকের মুহূর্তের ছবি সম্বলিত বিশেষ ক্যালেন্ডার, ” রঙ্গকর্মী স্টেপিং ইনটু ফিফটিয়েথ গ্লোরিয়াস ইয়ার”। ছবিতে আছে মহাভোজ, কোর্ট মার্শাল, রুদালি, অভি রাত বাকি হ্যায়, চন্দা বেড়নি সহ অন্যান্য নাটকের মুহূর্ত।

১৭ জানুয়ারি দেখান হলো কোর্ট মার্শাল, ১৮ জানুয়ারি হিম্মত মাই। সংরক্ষিত পুরোনো রেকর্ডিং থেকে এই নাটকগুলো দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান গুলো অনুষ্ঠিত হলো প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে অবস্থিত রঙ্গকর্মীর প্রেক্ষাগৃহে। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার পক্ষে হীরকেন্দু গাঙ্গুলি, অনিরুদ্ধ সরকার, অমল সাহা, তৃপ্তি মিত্র, সুবীর সেন, তন্দ্রা ব্যানার্জি প্রমুখ। পরে, সংস্থার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।