• facebook
  • twitter
Sunday, 22 December, 2024

ইকোস ফ্রম মাইহার

খান সাহেবের স্মরণে যন্ত্রীরা পরিবেশন করবেন রাগ সংগীত; পরিচালনায় খান সাহেবের পৌত্র সিরাজ আলি খান। তারপর রয়েছে সরোদবাদন। বাজাবেন ক্যেন জুকারম্যান।

ফাইল চিত্র

শাস্ত্রীয় সংগীতের জগতে ঘরানাকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান খুব একটা চোখে পড়ে না ! তবে ব্যতিক্রম তো সবেতেই রয়েছে। এবছর বড়দিনের দিনটিতে যেমনটি দেখা যাবে ‘ইকোস ফ্রম মাইহার’ অনুষ্ঠান ঘিরে। মাইহার ঘরানার বিশিষ্ট সেতারি ও গুরু এবং মাইহারের অগ্রগণ্য প্রতিনিধি পণ্ডিত পার্থ ঘোষ যেটি উদ্যোগ নিয়ে শুরু করেছিলেন। আর এটি এখন দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখল। ২০২৩ সালে বছরের শেষ দিনটিতে হয়েছিল প্রথম বছরের অনুষ্ঠান। এবার ২০২৪ সালে আবার হবে বড়দিনের দিন। কলকাতার জ্ঞান মঞ্চে।

অনুষ্ঠানটি হচ্ছে তিনটি পর্বে– প্রভাতকালীন অধিবেশন, মধ্যাহ্ন অধিবেশন এবং সবশেষে সান্ধ্যকালীন অধিবেশন। দু’জন করে মূল বাজিয়ে থাকছেন; সঙ্গে থাকছেন সহযোগী তবলাশিল্পী। এবার দেখে নেওয়া যাক অনুষ্ঠানে কারা কারা রয়েছেন।

সকালের অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে বেলা এগারোটার সময়। প্রথমেই থাকছে উস্তাদ আলী আকবর খানের নামাঙ্কিত বাদ্যবৃন্দ পরিবেশনা। এতে অংশ নেবেন সিরাজ আলি খান (সরোদ), অরিন্দম ভট্টাচার্য (কন্ঠ), রূপক মুখার্জি (বাঁশি), মৈনাক বিশ্বাস (তবলা ও পার্কাসান), ইন্দ্রদীপ মুখার্জী (গিটার), বাচস্পতি চক্রবর্তী (বেস গীটার), অভিজিত সরকার (ড্রামস)। খান সাহেবের স্মরণে যন্ত্রীরা পরিবেশন করবেন রাগ সংগীত; পরিচালনায় খান সাহেবের পৌত্র সিরাজ আলি খান। তারপর রয়েছে সরোদবাদন। বাজাবেন ক্যেন জুকারম্যান। তবলায় থাকছেন উন্মেষ ব্যানার্জি। মধ্যাহ্নের অধিবেশন বিকেল তিনটে থেকে শুরু। প্রথমে বাঁশি বাজাবেন পণ্ডিত নিত্যানন্দ হলদিপুর, সঙ্গে তবলায় ইন্দ্রনীল মল্লিক। পরে সন্তুর শোনাতে আসবেন পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য, তবলায় পণ্ডিত অভিজিৎ ব্যানার্জিকে সঙ্গে নিয়ে। অন্তিম সেশনের শুরু সন্ধ্যা ছটায়। প্রথমে থাকছে বেহালা বাদন; পরিবেশন করবেন ইন্দ্রদীপ ঘোষ। তাঁকে তবলায় সহযোগ প্রদান করবেন গৌরীশংকর পাণ্ডা। দ্বিতীয় বর্ষের অপরূপ এই অনুষ্ঠানে সমাপন করবেন মাইহার ঘরের বিশিষ্ট সরোদবদক পণ্ডিত বসন্ত কাবরা। তবলায় তাঁকে সহযোগ প্রদান করবন পণ্ডিত সমীর চট্টোপাধ্যায়।

ঘরানা কেন্দ্রিক এই যন্ত্রসংগীত আসরের সম্পূর্ণ ভাবনা-পরিকল্পনা ও রূপায়ণে পণ্ডিত পার্থ বোস। গুরু পণ্ডিত মনোজশংকর এবং উস্তাদ আশিস খানের স্মরণে এবারের অনুষ্ঠানকে উৎসর্গ করা হবে।

সবুজ বনানীর কর্মশালা
সামাজিক কাজের জন্যই এঁরা সবসময় কোমর বেঁধে তৈরি। সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে তাঁরা ঘুরে বেড়ান দেশে বিদেশে। ছয় বছর ধরে তাঁরা কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। পথ কুকুর বা অন্যান্য পশুদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া, বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষ রোপন, জল অপচয় বন্ধ করা, প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার মতো কর্মকাণ্ড তাঁরা ‘সবুজ বনানী’র সংস্থার মাধ্যমে সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। ২০ ডিসেম্বর কলকাতা প্রেস ক্লাবে তাঁরা এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। সংস্থার ভাবনা ও কাজের একটা ছবি উঠে এলো এই বৈঠকে। ‘সবুজ বনানী’র অন্যতম কার্যকর্তা সঞ্জিত দাস জানালেন, এই কাজ নিয়ে তাঁরা আরও মানুষের কাছে পৌঁছতে চান। তাহলেই তাঁদের কাজ সার্থকতা পাবে।

এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস
ইন্ডাস্ট্রি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ঘোষণা করল দ্য ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইআই)। প্ল্যাটিনাম, গোল্ড এবং সিলভার ক্যাটেগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড কামিটির চেয়ারম্যান ড. রঙ্গা রেড্ডি বলেন, এই পুরস্কার ভবিষ্যতের উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করবে।

রবিচ্ছটায় ‘চিত্রনিভা’-র ১১১
‘রক্তকরবী’র প্রথম প্রকাশ ও প্রথম চীনযাত্রা। শতবর্ষ ছুঁয়ে ফেলা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাজীবনের এই দুই উল্লেখযোগ্য ঘটনার পাশাপাশি এ বছর পালিত হল বিশ্বকবির স্নেহধন্যা চিত্রনিভা চৌধুরীর একশ এগারোতম জন্মবার্ষিকী। যোগেন চৌধুরী সেন্টার ফর আর্ট চারুবাসনায় আয়োজিত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী চিত্রনিভা দেবীর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আলোচনা থেকে জানা যায় যে আচার্য নন্দলাল বসুর সুযোগ্যা ছাত্রী নিভাননী বিয়ের পর প্রেরিত হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। সেখানেই কবিগুরু তাঁর আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁর নামকরণ করেন ‘চিত্রনিভা’। শান্তিনিকেতন ছাড়াও আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর স্ত্রী লেডি অবলা বসুর বানীভবনে কর্মরত ছিলেন তিনি। তবে মূল্যায়নের অভাবে অবহেলায় পড়ে ছিল তাঁর দু’হাজারটি ছবি। যার মধ্যে কুড়িটি ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীতে দান করেছেন তাঁর কন্যা রবীন্দ্রসংগীতের স্বনামধন্যা শিল্পী ডঃ চিত্রলেখা চৌধুরী। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এদিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন চন্দ্রা মহলানবিশ, পত্রলেখা ও দীপান্বিতা সেন। মায়ের আন্তরিক স্মৃতিচারণার উদ্দেশ্যে সেই কবিগুরুরই ‘সবারে করি আহবান’ আবৃত্তি বেছে নিয়েছিলেন চিত্রলেখা। এরই সাথে চিত্রনিভা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বিশিষ্ট শিল্পী অধ্যাপক পঙ্কজ পানোয়ার, আকাশবাণীর অনুষ্ঠান অধিকর্তা রামরঞ্জন দাস রায়, কবি রীনা গিরি, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার তাপস নাগ ও শিল্পী সৌরভ ঘোষ। রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনে ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী গোপাল পাত্র, অনুশীলা বসু, চন্দ্রা মহলানবিশ, তৃপ্তি চক্রবর্তী, অরিজিৎ মৈত্র, দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ দত্ত, চিত্রলেখা চৌধুরীর কন্যা পত্রলেখা, শ্যামলী মজুমদার প্রমুখ। কবি রীনা গিরি ও দীপান্বিতা সেনের কবিতাপাঠ শ্রোতাদের বিশেষ মনোরঞ্জন করে। এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্য ভূমিকায় বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখেন প্রদীপ দত্ত, চৈতালি কুন্দ, মিনাক্ষী দাস, কথামালা, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমন্বিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওপেন মাইক
কবি সায়নী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালচারাল হাউস “কৃষ্টি” আয়োজন করেছিল তাদের তৃতীয় অনুষ্ঠান-ওপেন মাইক। অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল নতুন প্রতিভাদের মঞ্চস্থ করা। হারমোনিকা,গান,নাচে এক অনন্য সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট তালবাদ্য শিল্পী পণ্ডিত মল্লার ঘোষ ও বাচিক শিল্পী মল্লিকা ঘোষ। সুরকার ও গায়ক সঞ্জিত বাগ,লেখক ও পরিচালক ঋতম রায়চৌধুরী। হারমোনিকার অনবদ্য উপস্থাপনায় ছিল প্রকৃতি চক্রবর্তী,বিবেক বিশ্বাস,দেবপ্রিয় ঘোষ,দৃশনা ব্যানার্জী, নিশান্তিকা সরকার, ময়ূক দত্ত, সৌমাল্য দাস। নৃত্য পরিবেশনায় সায়ন্তনী পাল। নৃত্যনাট্যে নন্দিনী প্রোডাকশন হাউস। সায়নী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান শুধু কলকাতা নয়, কলকাতার বাইরে থেকেও অনেকে অংশগ্রহণ করেছে। প্রত্যেকের উপস্থাপনা মনোমুগ্ধকর। এত মানুষের সাড়া পেয়ে আপ্লুত। “কৃষ্টি” নতুনদের নিয়ে আগামীতে আরও অনেক কাজ করার পরিকল্পনা করছে।

সুরে-কথায় অব্যয় স্মরণ
কিংবদন্তি সঙ্গীতগুরু সত্যেশ্বর মুখোপাধ্যায়-এর সুযোগ্য শিষ্য ও স্বদেশ- সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী সবিতাব্রত দত্ত- ঘরানার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র শিল্পী অব্যয় চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিভা, তাঁর সাঙ্গীতিক গভীরতা,অগ্রজ গুণী শিল্পীদের সান্নিধ্যে তাঁর অবনত বিনয়, কোনটিরই কোনোভাবেই মূল্যায়ন হয়নি। এমনই দাবি বঞ্চিত এই বড়োমাপের শিল্পীর পরিচিত সঙ্গীত মহলের অনেকেরই। ১ লা ডিসেম্বর তাঁর দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবসে প্রগতি-র কর্ণধার শৈবাল চট্টোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রয়াসে নলিনী গুহ সভাগৃহে করা হয় এক স্মরণসভার আয়োজন। শিক্ষা ও সংস্কৃতি- র প্রতি নিরলস, নিবেদিতপ্রাণ এক শিল্পী অব্যয় ছিলেন ভারতবর্ষীয় ব্রহ্মমন্দিরে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন-এর পুরোধা পুরুষ। তাঁর প্রতি স্নেহের টানে ও শ্রদ্ধা নিবদনে এদিনের স্মরণসভায় ছুটে আসেন শিল্পীমহলের প্রবাদপ্রতিম সব গুণীজন সহ এই সময়ের এক ঝাঁক শিল্পী। সঙ্গীতে অব্যয়-স্মরণ করেন দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায়, রবীন মুখার্জী, মৌসুমী কর্মকার, চিন্ময় আদক, চন্দ্রা মহালানবীশ, সচ্চিদানন্দ ঘোষ, অজয় ঘোষ, আশীষ দাশগুপ্ত, কৃষ্ণপ্রসাদ বেরা, সৌরভ মিত্র মুস্তাফি, চিত্তরঞ্জন সরকার, সীমা ঘোষ,শ্যামলী মজুমদার, সুপর্ণা দাস,দীপ্তি গুহ, ও মহুয়া দাস। শিল্পী অব্যয় চট্টোপাধ্যায়কে দীর্ঘদিন সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত পরিসরে পাওয়ার অভিজ্ঞতা কথনে ও কবিতায় স্মৃতিমেদুর হয়ে ওঠেন সাধন বাগচী , অমর সেন,তাপস নাগ ,অশোক ভদ্র, সরোজ ঘোষ, দেবাশীষ কুমার বসু, কৃষ্ণপ্রসাদ বেরা, আশীষ রায় ও প্রদীপ দাস। বেহালার সুরে চিন্ময় মোহান্তি ও তবলাবাদনে শিল্পীর সকল সময়ের বন্ধু অজিত ভদ্র স্মরণ করেন অব্যয়কে। সমবেত সঙ্গীতের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে ছিল গীত ও রবি, ফুল্লরা এবং সুরসপ্তক। আর শ্রদ্ধাঞ্জলির এই ভাবগম্ভীর পরিমণ্ডল গড়ে ওঠে চৈতালি মল্লিকের সুনিপুণ সঞ্চালনায়।

নরসিংহ দত্ত কলেজের শতবার্ষিকী
নরসিংহ দত্ত কলেজের শতবার্ষিকী যাপনের অঙ্গ হিসাবে, ভারতীয় ডাক বিভাগ থেকে মহাবিদ্যালয়ের নামাঙ্কিত বিশেষ ডাক কভার প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি এই ডাক কভার প্রকাশ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শতবার্ষিকী প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চে। কভারটি উন্মোচন করেন ভারতীয় ডাক বিভাগের দক্ষিণবঙ্গ শাখার পোস্টমাস্টার জেনারেল ঋজু গাঙ্গুলি। কলেজের অধ্যক্ষ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শতবার্ষিকী যাপনের অঙ্গ হিসেবে ভারতীয় ডাক ও তার বিভাগের এই শিরোপা শতবর্ষের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। কলেজ প্রাঙ্গণে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপী বইমেলায় শতবার্ষিকীস্মারক ডাকটিকিটটি ভারতীয় ডাক ও তার বিভাগের পক্ষ থেকে মাত্র পঁচিশ টাকা মূল্যে সর্বসাধারণের মধ্যে বিক্রি করা হয়।

নিউটাউন বইমেলা
একাদশতম নিউটাউন বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৫ ডিসেম্বর। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিশ্ববাংলা গেটের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকের শতবর্ষ উপলক্ষে ওই নাটকের বিভিন্ন অংশ উদ্ধৃত করে সুসজ্জিত তোরণ মেলার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলবে। শতাধিক প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হিডকো, এনকেডিএ সংস্থাও মেলায় স্টল দেবে বলে জানান মেলার প্রেসিডেন্ট গৌতম রায় ও সম্পাদক সঞ্জয় জানা। কবিতা উৎসবের পাশাপাশি থাকছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা উদ্বোধন করবেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সেলিব্রেটিং ইউনেস
সেলিব্রেটিং ইউনেস হল এমন এক সম্প্রদায়, যেখানে সমমনস্ক মানুষরা, তাদের প্রধান জীবিকার ক্ষেত্র যাই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট আগ্রহের মাধ্যমে আনন্দ এবং তৃপ্তি লাভ করে। এই অনন্য আনন্দের ক্ষেত্রটিই তাদের ‘ইউনেস’! জ্ঞান মঞ্চ-এ এক সন্ধ্যায় “ইনার হারমনি” উপস্থাপন করেছিল, যেখানে গান ও নৃত্যর মাধ্যমে শাস্ত্রীয় রাগের প্রভাব মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কীভাবে পড়ে তা প্রদর্শিত হয়।
ড. অরিন্দম গণচৌধুরী এবং তুনাই দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় রাগের ব্যবহার দিনের বিভিন্ন সময়ে কীভাবে করা হয় তা তুলে ধরে গানের ও সুরের একগুচ্ছ উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে দেবজিত সরকার মূরাত, ইপ্সিতা মুখার্জি এবং ড. অর্কদেব ভট্টাচার্যের দল নানান শিল্পের মাধ্যমে এক গল্পের উপস্থাপনা করেন। ড. অরিন্দম গণচৌধুরী ফ্লোরিডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁর প্রথম প্রকল্প ‘সেলিব্রেটিং পঞ্চমনেস’ এইচএমভি সারেগামা দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল।

লেক ক্লাব আর্ট মেলা
তিন দিন ব্যাপী লেক ক্লাব আর্ট মেলার উদ্বোধন হল শুক্রবার। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মেলার শুভ সূচনা করলেন শিল্পী সমীর আইচ। উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, বিমল কুণ্ডু, হিরণ মিত্র এবং লেক ক্লাবের কর্মকর্তারা। এই আর্ট মেলায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের উৎসাহিত করতে প্রদর্শনীতে এসেছিলেন প্রথিতযশা শিল্পী যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ।