নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসতে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হল রথযাত্রা। রবির বিকেলে বারাসত নবপল্লী শিব মন্দির সংলগ্ন কালী মন্দিরের সামনে থেকে সুসজ্জিত রথে পরিক্রমা করে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা পৌঁছালেন তাঁদের অশোক কলোনীর মাসির বাড়িতে। বারাসতের এই রথযাত্রা পালিত হয় বছর তিনেক ধরে। এই রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন বারাসতের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ বিবর্তন সাহা। প্রতিবারের মতো এবারও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই পালিত হলো রথযাত্রা। রথযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন ডাঃ বিবর্তন সাহা, সমাজসেবী নির্মল রায়চৌধুরী, রূপায়ণ ভট্টাচার্য্য, নুপুর ঘোষ সহ বিশিষ্টরা। এদিনের রথযাত্রাকে ঘিরে আট থেকে আশি সকলেরই উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্লেখ্য, এই রথযাত্রায় রথে থাকা জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার কাঠের মূর্তি আনা হয় পুরী থেকে।
কথায় বলে, রথ টানলেই মা দুর্গা আসেন। তাই রথ বাঙালির অত্যন্ত কাছের উৎসব। বারাসতের রথ উৎসবে ধর্ম-বর্ণ-জাতির ভেদাভেদ ভুলে সবাই একযোগে সামিল হন, টান দেন রথের দড়িতে। এই রথযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা ডাঃ বিবর্তন সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, এবার তাঁদের রথযাত্রা তৃতীয় বর্ষে পড়লো। তাঁর ভাষায়, “রথে থাকা জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার কাঠের মূর্তি আনা হয় পুরী থেকে। এদিন থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত রথ থাকবে অশোক কলোনীর মাসির বাড়িতেই। সেখানেই রোজ পুজো হবে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার। তারপর উল্টো রথের দিন আবার ফিরিয়ে আনা হবে রথকে।” এদিন মিষ্টিমুখ ব্যতিত ফিরে যাননি রথযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা। খাজা, জিলাপি সহ বিভিন্ন মিষ্টির ব্যবস্থা করেন উদ্যোক্তারা। সব মিলিয়ে রথযাত্রার দিনে এক উৎসবের আমেজ তৈরী হয় শহর বারাসতে।