মাহেশে মহাসমারহে ৬২৮তম ঐতিহাসিক জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালন

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, হুগলি: শনিবার মাহেশে জগন্নাথ দেবের ৬২৮ তমঐতিহাসিক স্নানযাত্রা উৎসব পালিত হলো। মন্দির সংলগ্ন স্নান পিড়ির ময়দানে ঐতিহাসিক স্নান পিড়ির বেদিতেই স্নানযাত্রা সম্পন্ন হয়। এই স্নানযাত্রা চাক্ষুষ দর্শন করতে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার ভক্ত মাহেশে আসেন। পুরীর মন্দিরের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম রথ উৎসব বলে পরিগণিত এই মাহেশের মন্দির। অতীতে পুরীর পর মাহেশের রথ ও স্নানযাত্রায় শ্রীচৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ দেব, মা সারদা দেবী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পদধূলিতে ধন্য হয়েছিল এই শ্রীরামপুরের মাহেশ। আড়াই মন দুধ এবং আঠাশ ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে আজ জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা কে স্নান করানো হয়।৬২৮ বছরের পুরনো স্নান যাত্রা ও রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে মন্দির চত্বর। মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল কৃষ্ণ অধিকারী বলেন এবারের স্নান যাত্রা মোখ্য যোগ তাই আজ সারাদিন স্নান বেদিতে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা অধিষ্ঠান করবেন এবং ভক্তরা চাক্ষুষ দর্শনের সুযোগ পাবেন।

তিনি জানান, ৪৭ বছর পর এই যোগ পড়ায় আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জগন্নাথ মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা উৎসবের শুভারম্ভ হয়। সারাদিন ব্যাপী স্নান বেদীতে গজবেশে জগন্নাথ মহাপ্রভু ভক্তদের দর্শন দেন। মঙ্গল আরতি হয় ভোর ৫টায়, অবকাশ বেশ ধারণ করেন ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে, গজবেশে দর্শন দেন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে, গজবেশে ভোগ দান হয় সকাল ১১ টায়। এখানেই অপরাহ্ণে তাকে অন্ন ভোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যেবেলা বৈকালিক শীতলের পর প্রভুর জ্বর আসে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মূল মন্দিরের গর্ভ গৃহে, এবং তারপরে তিনি বিশ্রামে চলে যান তাদের চিকিৎসা শুরু হয়। ১৫ দিন পর রথে চেপে তিনি মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পিয়াল বাবু বলেন এই দিনই মাহেশের ঐতিহাসিক রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়। তিনি বলেন এবারের এই রথযাত্রা উৎসব ৬২৮ বছরে পদার্পণ করছে। আজকের এই স্নান যাত্রা অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক ভক্ত মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।