আর্ট অ্যান্ড সোল ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠান

আর্ট অ্যান্ড সোল ফাউন্ডেশন মুম্বই কেন্দ্রিক একটি অলাভজনক সাংগীতিক সংস্থা। যেটির পরিচালনার দায়িত্বে ভানু ব্যাস। প্রায় দু দশক ধরে (২০১১ সাল থেকে) সংস্থাটি চলছে। তবে নজর কাড়ে কোভিড মহামারীর সময়ে। যখন সকলে গৃহবন্দী, হতাশা গ্রাস করে নিচ্ছিল এবং বিনোদন প্রায় ছিল না (যা দিয়ে মন ভালো করা যেত)। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় এদের অনলাইন অনুষ্ঠান। প্রতি রবিবার করে এদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে। আর্ট এন্ড সোল ফাউন্ডেশন ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা শুরু হয়। নির্বাচিত শিল্পী তার নিজ গৃহে বসে গান গাইবেন অথবা বাজনা শোনাবেন। যৎসামান্য পারিশ্রমিক তাদের প্রদান করা হয় । এভাবেই চলছিল … এখনও চলছে। তবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে সংস্থাটি অফলাইন অর্থাৎ লাইভ প্রোগ্রামও করা শুরু করে । ঠিক হয় প্রতিমাসের শেষ রবিবার নির্দিষ্ট শহরে বাছাই করা শিল্পীদের নিয়ে গান – বাজনার অনুষ্ঠান করা হবে।

সম্প্রতি কলকাতায় হয়ে গেল তাদের প্রথম মঞ্চের অনুষ্ঠান । সাদার্ন অ্যাভিনিউ-এর বিড়লা একাডেমী মঞ্চে। বিশিষ্টদের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন মাধ্যমে শুভ সূচনা হয়। এরপরে শুরু হয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অনুষ্ঠান। কলকাতার শিল্পী সিদ্ধার্থ ভোসের সরোদবাদন ছিল একদম শুরুতেই। শোনালেন রাগ ছায়ানট। আলাপের পর ত্রিতাল আবদ্ধ তিনখানি গত। উপস্থাপনা ছিল উপভোগ্য। তবলায় ছিলেন অর্কদীপ দাস । পরের শিল্পী ছিলেন গুজরাতের বরুচ থেকে; নাম জানকি মিঠাইওয়ালা। এই কণ্ঠশিল্পী পরিবেশন করলেন রাগ শ্যাম-কল্যাণ। বিলম্বিত (একতাল) বন্দিশ ও মধ্যলয়ে (ত্রিতাল)র পর ছিল দ্রুত তারানা। শেষ করেন মিশ্র গারা রাগে দাদরা গেয়ে । উপস্থাপনা লাগে যথেষ্ট মাঝারি । তবলায় ছিলেন নবারুণ কুমার দত্ত, হারমোনিয়ামে কমলাক্ষ মুখার্জি। এরপর সংস্থার পক্ষে ভানু ব্যাস এই অনুষ্ঠান এবং কলকাতায় আয়োজন বিষয়ে তার বক্তব্য রাখলেন। এই সন্ধ্যার একেবারে শেষভাগে ছিল বিশিষ্ট বেহালাবাদক পন্ডিত কৈলাস পাত্রের পরিবেশনা। রূপক ভট্টাচার্যের তবলা সাহচর্যে তিনি উপস্থাপন করলেন রাগ ললিতা – গৌরী। বিলম্বিত একতাল গত, এবং পরে মধ্য ও দ্রুতে ত্রিতাল গতকারি। এইভাবে পরিবেশনাকে সাজিয়েছিলেন। আর প্রথমে ছিল আলাপ। অনন্য এই নিবেদনপর্ব শেষ হলো মিশ্র কাফির উপস্থাপনায়।