চলছে চৈত্র মাসের সেল৷ জামা-কাপড়, জুতো, গয়না, আসবাব৷ কত না কেনার তালিকায়৷ অনেক সময়ই অনেককে গিন্নির সঙ্গে তো কাউকে হবু গিন্নির সঙ্গে এই গরমে ঘেমে-নিয়ে ছুটতে হচ্ছে বাজারে৷ তখন তাদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন হায় রে যদি কেন যে বিয়ের শখ হলো ? তবে জানেন কি বিয়ের পর পছতালেও এই পথে প্রায় ৯০ শতাংশ হাঁটেন৷ সে যাক এখানে কথা হচ্ছে বিয়ে নিয়ে, বউ নিয়ে৷ জানেন কি এমন জায়গায় আছে যেখানে সামগ্রীর মত খোলা বাজারে বউ কেনা-বেচার কাজ চলে, তাও একদন আইনসিদ্ধ পথে৷ হ্যাঁ, শুনে অবাক লাগবে বইকি৷ আজকের দিনেও সেখানে নারী কেনাবেচা হয় বহাল তবিয়তে৷ আলু পেঁয়াজের মতো এই বাজারে বিক্রি হন মহিলারা৷ আমাদের প্রিয় শহর কলকাতায় যেমন একটি বউ বাজার রয়েছে, তেমনই বুলগেরিয়াতেও রয়েছে একটি বউ বাজার৷ আমাদের বউ বাজার বিখ্যাত সোনার গয়নার দোকানের জন্য, আর বুলগেরিয়ার বউ বাজারটি আক্ষরিক অর্থেই ‘বউ বাজার’৷ এখানে সত্যি সত্যিই অর্থের বিনিময়ে বউ কেনা যায়৷ পাত্রের পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একটি মেয়ে বেছে কিনে নেন এবং তাঁকে পুত্রবধূ হিসেবে বাডি়তে নিয়ে যান৷
বুলগেরিয়ার ‘বউ-বাজার’ বুলগেরিয়ায় একটি বাজার রয়েছে যেখানে বিয়ের পাত্রী বিক্রি হয়৷ সেদেশের ‘বউ-বাজার’টি রয়েছে স্তার জাগোর নামের এক স্থানে৷ পুরুষরা এই বাজারে তাঁদের পরিবার নিয়ে যান এবং নিজের পছন্দমতো মেয়ে বেছে টাকা দিয়ে কিনে নেন৷
পছন্দের মেয়েকে কেনা হয় যে মেয়েটিতে পছন্দ করা হয় তার সঙ্গে দর কষাকষি করা হয়৷ তারপর যখন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা প্রদত্ত মূল্যে খুশি হন, তখন সেই মূল্যে ছেলেটির পরিবারকে সেই মেয়ে দেওয়া হয়৷ তারপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাডি়তে নিয়ে আসে এবং মেয়েটি তার স্ত্রীর মর্যাদা পায়৷ এই বাজারটি স্থাপিত হয়েছে গরীবদের জন্য এই কনের বাজারটি মূলত গরিব পরিবারের মেয়েদের জন্য৷ যেসব মেয়ের পরিবার অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তারা তাদের মেয়েকে নিয়ে যায় এই বাজারে যায়৷ এর পর ছেলেরা মেয়ে বেছে ঘরে নিয়ে যায়৷
বুলগেরিয়ায় বহু যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে৷ এই বাজার স্থাপনের অনুমতি মিলেছে সরকারের তরফেও৷ বাজারে মেয়েদের দাম ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়৷
মেয়েকে বাডি়তে নিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়৷ প্রথমত মেয়েটিকে কুমারী হতে হবে৷ তবেই তার দর বেশি হবে৷ শুধুমাত্র কালাইদঝি সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাঁদের মেয়েদের এই বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন৷ পাশাপাশি পরিবারটির দরিদ্র হওয়া আবশ্যক৷ আর্থিকভাবে সাবলম্বী বা ধনী পরিবারের মেয়েদের বিক্রি করা নিয়ম বিরুদ্ধ৷ এছাড়াও বাজের কেনা মেয়েটিকে পুত্রবধূর মর্যাদা দেওয়া আবশ্যক৷