শীতের মরশুমের উৎসবের কলকাতার এবারে বিশেষ সংযোজন “বৈতানিক উৎসব- ২০২৪”! শুরুটা হয়েছিল
দু’বছর আগে যখন সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহ্যশালী সংস্থা পার করলো ৭৫ বছর। তাদের জন্মদিন, বাইশে শ্রাবণকে কেন্দ্র করে উদযাপিত হয়েছিল বৈতানিক ৭৫, ২০২২ এবং ২০২৩ । এই বছর প্রতিষ্ঠাতার ১২৫-এ পদার্পণ, তাই ৯ অক্টোবর তাঁর জন্মদিনের পরেই এবারের উৎসব, ডিসেম্বর মাসে ৫ দিনব্যাপী ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর। উৎসবের উদ্বোধনের দিনে বিশেষ আকর্ষণ ছিল সৌম্যেন্দ্রনাথের গান।
বর্ণময় সৌম্যেন ঠাকুরের জীবনের মতই আপাত কঠিন, চমকপ্রদ আর আভিজাত্যের মিশেল তাঁর গান। বনানীর সঙ্গে তার দলের চল্লিশ অধিক শিল্পীরা চার এলগিন রোডের আকাশ বাতাস মুখর করে তুলেছিলেন সেই গানে। উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে ছিল তুমি মোর প্রিয়া, ক্ষণিক পরশ, দক্ষিণ, বায়ু, উড়ে যায়, ফুল জমে, আবার যেদিন, তুমি দাঁড়ালে, আমি যারে ভালোবাসি, ও ভাই যাত্রী, মুক্তির দেরি নাই।
অবশ্যই রবীন্দ্রনাথও ছিলেন! দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বনানীর কন্ঠে গাওয়া গায়ে আমার পুলক লাগে, দুজনে দেখা হল, চোখের জলের লাগল জোয়ার, মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, বিপুল তরঙ্গ রে, মরি লো ইত্যাদি রবীন্দ্র সংগীতগুলো উল্লেখযোগ্য।
শেষ দিনের বৈতানিকের নিবেদন “সৌম্যেন আলোকে”, তাঁর রবিদার অনেক গানই সৌম্যেন আলোকে নতুন আঙ্গিকে উদ্ভাসিত! তারই কিছু গান ও গল্প নিয়ে অনুষ্ঠান ছিল। বনানী জানালেন, ” এছাড়া সামগ্রিক উৎসবই তো রবীন্দ্র মুখর! গান, নাচ, গল্প, কবিতা, নাটক, শ্রুতি নাটক সবই ছিল, ছিল প্রথাগত এবং প্রথাভাঙ্গা নতুন আঙ্গিকেও! তাদের ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্য, বৈতানিক উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ, উৎসব আলোচনা! শেষ দিনের আলোচনায় ছিলেন বিশিষ্ট পন্ডিত এবং
চিন্তক রজতকান্ত রায়। ৪ নম্বর এলগিন রোড, বৈতানিক ভবন
ভরে উঠেছিল রবীন্দ্র অনুরাগে, আরও একবার।