উৎসবের মরসুম শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বিয়ের মরশুম। বিয়ের মরশুমে বাজারে ভিড় বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মানুষের খরচ বাড়লেও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে অর্থনীতির, লাভবান হন ব্যবসায়ীরা। আগামী ৩৪ দিনে সারা দেশে ৪৮ লক্ষ বিয়ে হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এই বিয়েগুলি থেকে ৬ লক্ষ কোটির টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেনে নেওয়া যাক কোন খাতে কত ব্যবসা হবে –
এবার ভারতে বিয়ের মরশুম ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, আর তা চলবে তা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সময়পর্বে, সারা দেশে প্রায় ৪৮ লক্ষ বিয়ে হচ্ছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই দেড় মাসে ১৮ দিন বিয়ের জন্য খুবই শুভ। নভেম্বরে বিবাহের জন্য শুভ দিনগুলি হল ১২, ১৩, ১৭, ১৮, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৮ এবং ২৯ নভেম্বর। ডিসেম্বর মাসে ৪, ৫, ৯, ১০, ১১, ১৪, ১৫ এবং ১৬ তারিখগুলি বিয়ের জন্য শুভ তারিখ।
গত বছরের তুলনায় এ বছর বিয়ের মরশুমে ব্যবসা বেশি হবে। গত মরশুমে ৩৫ লক্ষ বিয়ে থেকে ৪.২৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যবসা হয়েছিল। শুধু রাজধানীর কথা বললে, এবার দিল্লিতে ৪.৫ লক্ষ বিয়ে হতে পারে, যা ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সিএআইটির ডিরেক্টর প্রবীণ খান্ডেলওয়ালের মতে, মানুষের কেনাকাটার আচরণে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এখন মানুষ বিদেশি এবং ব্র্যান্ডের জিনিসের পরিবর্তে বেশি করে ভারতীয় পণ্য কিনছে। ভোকাল ফর লোকাল এবং আত্মনির্ভর ভারতের সাফল্য মানুষের কেনাকাটার আচরণে প্রতিফলিত হচ্ছে। সিএআইটি এই মরশুমে অনুষ্ঠিত বিয়েগুলিকে বিভিন্ন ভাগ করেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, একটি বিয়েতে কত খরচ হবে এবং লোকেরা কোথায় বেশি ব্যয় করবে।
১০ লক্ষ বিয়ের প্রতি বিয়েতে খরচ ৩ লক্ষ টাকা
১০ লক্ষ বিয়ের প্রতি বিয়েতে খরচ ৬ লক্ষ টাকা
১০ লক্ষ বিয়ের প্রতি বিয়েতে খরচ ১০ লক্ষ টাকা
১০ লক্ষ বিয়ের প্রতি বিয়েতে খরচ ১৫ লক্ষ টাকা
৭ লক্ষ বিয়ের প্রতি বিয়েতে ২৫ লক্ষ টাকা
৫০ হাজার বিয়ের প্রতি বিয়েতে ৫০ লক্ষ টাকা
৫০ হাজার বিয়ের প্রতি বিয়েতে খরচ ১ কোটি বা তার বেশি
এ ছাড়া অন্যান্য খরচের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, মোট ব্যয়ের ১০ শতাংশ জামা, শাড়ি, লেহেঙ্গা ও গয়না, ১৫ শতাংশ গয়না, ৫ শতাংশ ইলেকট্রনিক্স ও অ্যাপ্লায়েন্সে, ৫ শতাংশ শুকনো ফল, মিষ্টি ও চানাচুরে খরচ হবে। ৫ শতাংশ মুদি এবং ৫ শতাংশ সবজিতে, ৪ শতাংশ উপহার এবং ৬ শতাংশ অন্যান্য জিনিসপত্রে ব্যয় করা যেতে পারে।
এ ছাড়া ব্যাঙ্কোয়েট হল, হোটেলে ৫ শতাংশ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে ৩ শতাংশ, প্যান্ডেল সাজাতে ১০ শতাংশ, ক্যাটারিং সার্ভিসে ১০ শতাংশ, ডেকোরেশনে ৮ শতাংশ, পরিবহন ও ট্যাক্সি সার্ভিসে ৩ শতাংশ, ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে ২ শতাংশ। অর্কেস্ট্রা এবং সঙ্গীতে ৩ শতাংশ, ৩ শতাংশ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড এবং ৭ শতাংশ অন্যান্য পরিষেবাতে ব্যয় করা হবে।