মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর তালিকায় ভারতের নামও রয়েছে। কিন্তু এরপরও ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের অন্য ছবি দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে। সেই বৈঠকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার পরিণামে অন্য বিদেশী সংস্থাগুলিকে নতুন শুল্ক ছাড় ভারতের। এই ছাড়ের কারণে অনেকটাই স্বস্তিতে গুগল ও মেটার মতো সংস্থাগুলি। চলতি বছর বাজেটে মার্কিন পণ্যে করছাড় দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে বিশেষজ্ঞমহল বলছে, ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ থেকে বাঁচতেই আগে ভাগে পারস্পারিক শুল্ক রীতি শুরু করে আমেরিকার সঙ্গে সামজস্য বজায় রাখতে চাইছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে শুল্কে রেহাই পেতে চলেছে বিদেশি সংস্থাগুলি। এত দিন পর্যন্ত গুগল, মেটার মতো সংস্থাগুলির থেকে ভারত বিজ্ঞাপন পরিষেবা নেওয়ার জন্য ৬ শতাংশ সমীকরণ শুল্ক নিতে। যা প্রশাসনিক মহলে এটি ‘গুগল ট্য়াক্স’ নামে পরিচিত। আগামী মাস থেকে সেই শুল্ক নেওয়া বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র।
২০১৬ সালে বিদেশি সংস্থাদের বিজ্ঞাপনে শুল্ক চাপাতে এই গুগল ট্যাক্স বা সমীকরণ শুল্ক শুরু করে ভারত সরকার। মূলত, যে সকল সংস্থার ভারতের বুকে কোনও শারীরিক অস্তিত্ব নেই, কিন্তু ভারতীয়দের থেকে মোটা টাকা আয় করে তাদের থেকে এই শুল্ক আদায় করত কেন্দ্র। প্রথম দিকে গুগল বা মেটার মতো সংস্থায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ৬ শতাংশ শুল্ক চাপাত কেন্দ্র। যা পরবর্তী ২০২০ সালে আরও ২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় তারা। অবশ্য এই ২ শতাংশ শুল্ক কিন্তু সবাইকে দিতে হত না। মূলত, ২ কোটির বেশি আয় করা ই-কমার্স কোম্পানিগুলিকে এই শুল্কের তালিকায় রাখে অর্থমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, গত বছরই আবার আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করে সেই ২ শতাংশ কর উঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। আর নতুন বছর পড়তেই ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক সমঝোতার আবহেই এই ৬ শতাংশ গুগল ট্যাক্সও তুলে নিল ভারত।