বর্ষশেষে লাভজনক হবে শেয়ার বাজার

প্রতীকী চিত্র

স্থিতিস্থাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নির্ভর করে, দেশীয় শেয়ার বাজার বর্ষশেষে লাভের মুখ দেখবে বলে ইঙ্গিত। নিফটি ১৩ শতাংশ লাভ রেকর্ড করেছে। এটি লাভের টানা নবম বছর বলে উল্লেখ করেছে মতিলাল ওসওয়াল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের একটি প্রতিবেদন।

বছরের প্রথমার্ধ, শক্তিশালী কর্পোরেট আয়, অভ্যন্তরীণ প্রবাহে বৃদ্ধি এবং দেশকে একটি স্থিতিস্থাপক ম্যাক্রো ল্যান্ডস্কেপ হিসেবে চিহ্ণিত করেছিল, যা সেপ্টেম্বরের নিফটিকে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৬,২৭৭-এ নিয়ে গেছে।

প্রকৃতপক্ষে, বাজারের ওঠাপড়া, উল্লেখযোগ্য পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলির উপর নির্ভর করে। যেমন বেশ কয়েকটি দেশের রাজনৈতিক সমস্যা, সাধারণ নির্বাচন এবং দেশের বাজেট, সরাসরি বাজারের সঙ্গে যুক্ত।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালটি দুটি অর্ধে দুটি ভিন্ন ফল প্রকাশ করতে পারে। প্রথমার্ধে বাজার একীকরণ অব্যাহত থাকতে পারে, অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে তা পুনরুদ্ধার হতে পারে। দেশীয় এবং বৈশ্বিক কারণগুলির সংমিশ্রণের ফলে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (এফআইআই) বিক্রির মধ্যেই, গত দু’মাসে, বাজার তার সর্বকালের সর্বোচ্চ থেকে ১১ শতাংশ সংশোধন করেছে।

আগামী দিনে ভারতীয় বাজার বৈশ্বিক এবং দেশীয় অর্থনৈতিক ঘটনাগুলির দরুন, উল্লেখযোগ্য প্রভাবের মুখোমুখি হতে পারে।

ফেব্রুয়ারিতে আরবিআইয়ের প্রত্যাশিত সুদের হার হ্রাস, মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রবণতা এবং জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর, বাণিজ্য নীতি পরিবর্তনের কারণে বাজারের অস্থিরতা তৈরি হবে। উপরন্তু ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় বাজেট, বাজারের ওঠাপড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দেবে। একটি ভঙ্গুর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং দেশে মিশ্র অর্থনীতির কারণগুলির ফলস্বরূপ, বাজার অদূর ভবিষ্যতে একীকরণ মোডে থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

গ্রামীণ ব্যয় বৃদ্ধি, বিয়ের মরশুম এবং সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ২০২৫ অর্থবর্ষে উপার্জন পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৫-২৭ অর্থবর্ষে ১৬ শতাংশ সিএজিআর প্রদান করে আয় বৃদ্ধি সম্ভব হবে। কর্পোরেট ইন্ডিয়ার ব্যালেন্সশিটে লাভজনক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখে, দীর্ঘমেয়াদী লাভের প্রবণতা সম্পর্কে আশাবাদী হয়েছেন বাজার সমীক্ষকরা।