দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে বসার পরই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একদিকে দেশ থেকে অবৈধ অভিভাসী তাড়ানো, অন্যদিকে শুল্ক বৃদ্ধি। তাঁর সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে শুল্কযুদ্ধ।
ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন সহ একাধিক দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ভারতও শুল্ক চাপানোর তালিকায় সামিল। এরই মধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধে নেমে পড়েছে ব্রিটেন, চিন। কিন্তু যে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়েছে সেটি হল শেয়ার বাজার। ভারত-সহ একাধিক দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্প যে শুল্কের ঘোষণা করেছেন তা কার্যকর হতে চলেছে ২ এপ্রিল বুধবার থেকে। এই শুল্কের আতঙ্কে ভারতে শেয়ার বাজার তলানিতে। নতুন অর্থবর্ষের প্রথম দিনেই আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে সেনসেক্স সূচক এক ধাক্কায় ১২০০ পয়েন্ট পড়ল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই একনাগাড়ে পড়তে শুরু করে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার দর। সেনসেক্স ৫৩২ পয়েন্ট পড়ে ৭৬,৮৮২ পয়েন্টে খুলেছিল। সেই পতন অব্যাহত থেকে সাড়ে এগারোটায় তা পৌঁছে যায় ১২৬৮.৩২ পয়েন্টে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি৫০ সকালেই ৩২৮.৫৫ পয়েন্ট পড়ে ২৩,১৯০.৮০ পয়েন্টে নেমে আসে। তারপর বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই সূচক ২৩ হাজারেরও নিচে নেমে যায়। নিফটি আইটি ইনডেক্স ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ভারতের শেয়ার বাজারের এহেন ধসের ওপর বিষফোঁড়ার কাজ করেছে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিটের ঘোষণা। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অন্যায্য শুল্কনীতি মেনে নিয়েছি। মার্কিন কৃষিজাত পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক বসায় ভারত। দুগ্ধজাত পণ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫০ শতাংশ কর চাপায়। তার জেরে লোকসানে পড়েন আমেরিকার ব্যবসায়ীরা। তাই এবার ভারতকে পাল্টা দেওয়ার সময় হয়েছে।’