প্রিমিয়াম পণ্যের উপর জিএসটি না বাড়াতে অনুরোধ রিটেলারদের

প্রতীকী চিত্র

সম্প্রতি ভারতের রিটেলারদের সংগঠন অর্থাৎ রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (আরএআই), প্রিমিয়াম পণ্যের উপর জিএসটি হার না বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। এই বিক্রেতাদের মতে, করের হার বাড়লে ক্রেতাদের কেনার প্রবণতা যেমন কমবে, তেমনই ব্ল্যাকে চড়া মূল্যে এগুলির বিক্রি বেড়ে যাবে। এর ফলে প্রকারান্তরে সরকারের জিএসটি রাজস্ব আদায় মার খাবে।

শুক্রবার কলকাতায় ‘আরএআই কলকাতা রিটেল সামিট ২০২৪’–এ আরএআই-এর সিইও কুমার রাজাগোপালনের বক্তব্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের রিটেল ক্ষেত্রের বৃদ্ধির হার ছিল ৪–৫ শতাংশ। কলকাতা–সহ পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে এই হার ৩–৫ শতাংশ হয়েছে, যা মাহামারির পরবর্তী পর্যায়ের মধ্যে নিম্নতম।

প্রিমিয়াম পণ্যের বিক্রি বাড়লেও সাধারণ মানুষ লাগামছাড়া খরচ বহন করতে নাজেহাল। চড়া মূল্যবৃদ্ধির জন্য নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। এমনকী মধ্যবিত্তদের আয়ত্তের মধ্যে যে-পণ্য, সেই ‘ভ্যালু সেগমেন্ট’-এর বিক্রিও বাড়েনি। জিএসটি হার বাড়লে সাধারণ মানুষ কেনা আরও কমিয়ে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।


করের হার না বাড়াতে তাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে লিখিত আর্জি জানিয়েছে আরএআই ।

সূত্রের খবর, রাজস্ব বাড়াতে বেশ কিছু পণ্যের উপর জিএসটি হার বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে জিএসটি কাউন্সিল। তার মধ্যে বস্ত্র ক্ষেত্র অন্যতম। পোশাক বিক্রেতাদের সংগঠন করের হার বাড়ার সম্ভাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে অ্যাপারেলের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। প্রিমিয়াম পোশাকের উপর তা বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করা হলে, নিশ্চিতভাবেই বিক্রি কমবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

দামি পোশাক সাধারণ মানুষ নিয়মিতভাবে না কিনলেও, বিশেষ অনুষ্ঠানে কেনেন। সেখানে যদি এই পোশাকগুলির দাম নাগালের বাইরে চলে যায় কর বৃদ্ধির কারণে, তা হলে বিক্রি অবশ্যই কমবে। ওই পোশাকটিই চোরাবাজার থেকে ক্রেতা কিনলে, জিএসটি দিতে হবে না। ফলে, নিয়ম মেনে চলা রিটেলারের বিক্রি কমার পাশাপাশি, জিএসটি হারিয়ে সরকারেরও বিপুল লোকসান হবে। সরকার যদি করের হার কমিয়ে রাখে, নিয়মকানুন মানতে সমস্ত ব্যবসায়ীরাই রাজি থাকবেন। এ বিষয়টি নিয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবে জিএসটি কাউন্সিল।