মিউচুয়াল ফান্ড কিনতে হলে আগে সঠিক বাছাই জরুরি

প্রতীকী চিত্র

মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ভালো মুনাফা হতে পারে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা ঢালার আগে কিন্তু সঠিক ফান্ড বাছাই করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই বলছে ভালো, তাই আপনিও ভালো ভেবে বিনিয়োগ করলেন। হয়তো শুরুতে কিছুটা লাভেরও মুখ দেখলেন। কিন্তু পরে মুনাফা কমে যেতে লাগল— এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। যদি মিউচুয়াল ফান্ড নির্বাচনে ভুল হয় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যাবে।
ভুল এড়ানোর নিদান

বেশিরভাগ মানুষই মিউচুয়াল ফান্ড বাছাই করেন অন্যের কথা শুনে। উচিত হবে জেনে নেওয়া কোন ফান্ড ভালো রিটার্ন দিচ্ছে। সেই সঙ্গে জানুন ফান্ডটির রেটিং।

তবে রেটিংই শেষ কথা নয়। যদি রেটিং শেষ কথা হতো, তাহলে তো সবাই একই ফান্ড কিনতেন। তাই কিছু জিনিস জানা জরুরি। খেয়াল করে দেখবেন, একই ফান্ডের বিভিন্ন সংস্থার করা রেটিং আলাদা হতে পারে। দ্বিতীয়ত যে-ফান্ড এ বছর শীর্ষে রয়েছে, পরের বছর হতে পারে সেটা তলানিতে পৌঁছবে।


নিয়মিত ফান্ডের অবস্থা যাচাই করা দরকার। এবছর যেটি স্টার পারফর্মার, এমন কোনও কথা নেই পরের বছর সেই একই ফান্ড আপনাকে মুনাফা দেবে। নিয়ম করে প্রতি ছয় মাসে খতিয়ে দেখুন আপনার ফান্ডের অবস্থা। প্রয়োজনে ফান্ড বদল করুন।

কেন বিনিয়োগ করছেন আপনি নিজে সেই ব্যাপারে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। খুচরো বিনিয়োগকারীরা অনেক সময়ই কার্যকারণ বিচার না করে বিনিয়োগ করেন। মাথায় রাখবেন বাজারে বিভিন্ন ফান্ড তৈরি হওয়ার কিন্তু কারণ রয়েছে। সব ফান্ডই টাকা খাটানোর জন্য। কিন্তু কী কারণে সেই টাকা খাটছে? বাজারের চাহিদা মেটাতেই কিন্তু নানান ফান্ড তৈরি হয়েছে।

মনে রাখতে হবে আপনার সঞ্চয়ের টাকাই কিন্তু খাটছে ব্যবসায়। তাই বাজারের হালচালের উপর নির্ভর করবে আপনার বিনিয়োগ। যেহেতু বিভিন্ন ফান্ড বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে, তাই বাজারের কী অবস্থা তার একটা ধারণা আপনার থাকতেই হবে। আপনার টাকা কোথায় খাটছে, সেটা আপনারও জেনে নেওয়া জরুরি। বাজারের অর্থনীতির বিষয়ে একটা চলনসই ধারণা আপনার থাকতেই হবে।

ধরা যাক, সবচেয়ে নিরাপদ ভেবে আপনি ডেট ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন। এবার দেখুন হয়তো সেই সময় বাজারে সুদের হার একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে। আপনার যদি স্বল্পমেয়াদী ফান্ডে বিনিয়োগ থাকে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদী ফান্ডের ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য, আপনার ক্ষেত্রে তা না-ও খাটতে পারে।

সুদের হার কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে দীর্ঘমেয়াদী ডেটফান্ড বেছে নেওয়া ভালো। আর সুদের হার বাড়ার ইঙ্গিত থাকলে স্বল্পমেয়াদী ডেট ফান্ড লাভজনক হবে।