সস্তা হয়েছে ডাল, চিনি আর শাক-সবজি, বলছে কেন্দ্র

প্রতীকী চিত্র

রোজকার খাদ্যদ্রব্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। মধ্যবিত্ত মানুষ বলছে এ যেন নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা। অন্যদিকে সাধারণের এই দীর্ঘশ্বাস উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্র সরকার বলছে, ডিসেম্বরে খুচরো বাজারে সামান্য কমেছিল জিনিসের দাম। ডিসেম্বরে দাম কমার সেই তথ্যকে হাতিয়ার করেই সম্প্রতি কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) প্রকাশ করল সরকার। সেখানে বলা হয়েছে গত ডিসেম্বর মাসে ৫.২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল সিপিআই, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। নভেম্বরে এর অঙ্কটি ছিল ৫.৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের নিরিখে খুচরো বাজারে কিছুটা কমেছে জিনিসের দাম। এই তথ্যকে সামনে রেখে কেন্দ্রের দাবি, গত মাসে শাক-সবজি, ডাল, চিনি এবং দানাশস্যর দর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। চিনির দাম কমায় সস্তা হয়েছে মিষ্টির দাম।

বস্তুত সিপিআই হল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারের পরিমাপক। খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি কনজ্যুমার ফুড প্রাইস ইনডেক্সের (সিএফপিআই) মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌছেছিল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। ওই মাসে সিপিআই ছিল ৬.২১ শতাংশ। খুচরো মুদ্রাস্ফীতিকে দুই থেকে ছ’শতাংশের মধ্যে আটকে রাখাই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার লক্ষ্য।

এদিন শহর এবং গ্রামের মুদ্রাস্ফীতির হার সংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করেছে সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির হার রয়েছে ৫.৭৬ শতাংশ। শহরে এটি ৪.৫৮ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। আসলে ব্যক্তিগত শখ-আহ্লাদ পূরণের ক্ষেত্রে খরচের মাত্রা আমজনতা কমিয়েছে বলে রিপোর্টে স্পষ্ট।