এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির মালিকানা ও ঠিকানা বদল করা যেত না । যার ফলে অসুবিধার মধ্যে পড়ছিলেন বহু মানুষ। এবার এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিল পরিবহণ দপ্তর। একটি নির্দেশিকা জারি করে দপ্তর জানিয়েছে, মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলি চাইলে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে মালিকানা ও ঠিকানা বদল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পরিবহণ দপ্তরের কাছে মোট ১২টি নথি জমা করতে হবে। সেই সব নথিপত্র যাচাইয়ের পর ঠিকানা ও মালিকানা বদলের অনুমতি দেবে পরিবহণ দপ্তর। এ ক্ষেত্রে পরিবহণ দপ্তরের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল আইন। মোটর ভেহিকল আইন ও বিধিতে মালিকানা কিংবা ঠিকানা পরিবর্তনের সুস্পষ্ট সংস্থান নেই বলে দাবি পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের। তাই মোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিকানা কিংবা ঠিকানা বদল সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা।
দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মোটর ট্রেনিং স্কুলের তরফে এই দাবি উঠেছিল। গত জুন মাসে এই সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বৈঠক করেন দপ্তরের আধিকারিকরা। ঠিক হয়, নয়া নির্দেশিকা তৈরি করা হবে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও মোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিকের মৃত্যুতে কিংবা ভিন্ন কারণে মালিকানা বদলের জন্য স্কুলের লাইসেন্স-সহ আইনি দাবিদারকে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। জমা করতে হবে মৃত্যুর শংসাপত্র-সহ একটি হলফনামা। লিখিত বয়ানে জানাতে হবে, সংশ্লিষ্ট মোটর ট্রেনিং স্কুলের অন্য কোনও দাবিদারের এই বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই।
আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে প্যান ও আধার কার্ডের প্রতিলিপি দিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনে মোট ১২টি বিষয়কে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, মোটর ট্রেনিং স্কুলের ঠিকানা বদলের জন্য ট্রেড লাইসেন্স-সহ একইভাবে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে প্যান ও আধার-সহ স্কুল অফিসের মালিকানার প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে। পরিবহণ দপ্তর দুই ক্ষেত্রেই জমা পড়া যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখবে, যাচাই করবে। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে মিলবে ঠিকানা বদলের অনুমতি।