ভারতের বিমানবাজারে ‘শঙ্খধ্বনি’, আসতে চলেছে নয়া এয়ারলাইন্স শঙ্খ

ভারতের নতুন বিমান সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল ‘শঙ্খ’। সম্প্রতিই অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সম্মতি লাভ করেছে তারা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান চলাচল শুরু করবার জন্য প্রয়োজন ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর অনুমোদন। উল্লেখ্য, বিমান পরিবহন মন্ত্রক থেকে দেওয়া এই নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)-র মেয়াদ ৩ বছর।

শঙ্খ সংস্থাটি উত্তরপ্রদেশের। মূলত লক্ষ্ণৌ আর নয়ডা থেকে এদের ব্যবসা পরিচালিত হবে। সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এদের লক্ষ্য মূলত ভারতের প্রধান প্রধান শহরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। আন্তঃরাজ্য এবং অন্তঃরাজ্য, উভয় রুটেই এদের বিমান চলাচল করবে – বিশেষ করে যেখানে চাহিদা বেশি অথচ সরাসরি বিমানের সংখ্যা সীমিত।

বর্তমানে ভারতের বিমানবাজারের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়া। ইন্ডিগো ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইন্স হিসেবে মোট বিমানবাজারের ৬৩ শতাংশ দখল করে রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও দ্রুতগতিতে ইন্ডিগোর বিস্তার হবে, এমনটাই মনে করা হয়।


এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন্স। আগামী দিনে টাটা গ্রুপ এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ মালিকানার সংস্থা ‘ভিস্তারা’-কে কিনে নিয়ে আরও বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এছাড়াও তারা এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়াকেও কিনে নিচ্ছে।

অন্যদিকে, ছোটো ছোটো এয়ারলাইন্সগুলোর বাজার পড়তির দিকে। মে মাসে গো এয়ারলাইন্স তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। স্পাইসজেট এয়ারলাইন্স বিগত ৫ বছর ধরে লাভের মুখ দেখতে পায়নি।

ফলে, বড়ো বড়ো বিমান সংস্থাগুলোর একচেটিয়া ব্যবসার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে ছোটো-ছোটো এয়ারলাইন্সগুলো। প্রয়াত রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার আকাশা এয়ার বা হর্ষ রাঘবন-মনোজ চ্যাকোর ফ্লাই৯১-এর মতো নতুন সংস্থাগুলোও নিজেদের প্রমাণ করার ইঁদুরদৌড়ে পড়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিমান পরিবহন উপদেষ্টা ফার্ম ক্যাপা ইন্ডিয়া-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতে বিমানযাত্রী ট্রাফিকে বছর-প্রতি-বছর হিসেবে ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অর্থবর্ষে মোট ৩৭৬ মিলিয়ন যাত্রী বিমানযাত্রা করেছেন, এমনটাই জানা গিয়েছে ওই রিপোর্ট মারফত।