বিশ্ব বাজারে সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে অ্যাপল নির্মিত ফোনের। অ্যাপল তার আইফোন উৎপাদনের ক্ষেত্র হিসেবে এতদিন চিনকেই প্রাধান্য দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তার কাছে প্রাধান্য পেয়েছে ভারত। তাই মাত্র ১০ বছরেই চিনকে টপকে ভারত হয়ে উঠেছে পণ্য উৎপাদনের শ্রেষ্ট বাজার হিসেবে। অ্যাপল এখন চিনের থেকে ভারতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যার প্রমাণ এই মুহূর্তে অ্যাপলের ২০ শতাংশ আইফোন ভারতে উৎপাদিত হয়।
তবে অ্যাপলের এই পছন্দের কারণ হিসেবে আর্থিক বিশ্লেষকেরা মোদীর পরিকল্পনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, ১১ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ তে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর নরেন্দ্র মোদী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-যে ডাক দিয়েছিলেন তার ফল হিসেবেই ভারতের এই উন্নতি।
ভারতে পণ্য উৎপাদনের জন্য বিদেশী সংস্থার সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলার তাঁর বার্তাই কাজ করেছে। মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে গত ১১ বছরে ভারতে পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি নজর কেড়েছে। বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক ঘোষণার যে রীতি চালু করেছেন সেটি ভারতকে আরও এগিয়ে দেবে বলে ধারণা আর্থিক বিশ্লেষকদের। তাঁরা বলছেন, চিনের সঙ্গে আমেরিকায় শুল্কযুদ্ধ শুরু হয়েছে। চিনে উৎপাদিত পণ্য আমেরিকায় রফতানি করা হলে যে শুল্ক দিতে হবে, ভারতে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে সেই শুল্ক লাগবে না। ফলে চিনের স্থানে ভারত অগ্রাধিকার পাচ্ছে অ্যাপলের কাছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে তাদের আইফোন উৎপাদনের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেবে অ্যাপল।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্য আইফোন উৎপাদন হয়। তার আগের অর্থবর্ষের চেয়ে যা ৬০ শতাংশ বেশি। ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ যেমন ভারতকে ব্যবসায় গতি দেবে আবার অন্যদিকে করোনার সময় চিনের বিরুদ্ধে ওঠা মহামারী ছড়ানোর অভিযোগও সেই একই কাজ করেছে। করোনার সময় চিনে লকডাউন থাকাকালীন ভারতে আইফোন উৎপাদন বাড়াতে পদক্ষেপ করে অ্যাপল। সেটাই এখন আরও বেড়েছে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, অ্যাপল তাদের উৎপাদিত আইফোনের ২০ শতাংশ ভারতে উৎপাদন করে। অর্থাৎ বিশ্বের ৫টি আইফোনের মধ্যে একটি আইফোন উৎপাদিত হয় ভারতে।