ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মান ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রত্যাশিত লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলবে ২০৩০-এর মধ্যেই! মঙ্গলবার প্রাইমাস পার্টনার্সের একটি রিপোর্ট মারফৎ উঠে এলো এই তথ্য। রিপোর্ট সূত্রে খবর, ভারত-আরবের বাণিজ্য বছর-প্রতি-বছর ১২.৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্যস্থল।
প্রাইমাস পার্টনার্সের ওই রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ ২০৩০-এর আগেই তা ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতে সফরে এসেছিলেন আবু ধাবির যুবরাজ শেখ খালেদ বিন মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারত এবং আরবের মধ্যে ৫টি মৌ-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২০২২ সালে হওয়া সিইপিএ (কম্প্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট)-এর মতো চুক্তির হাত ধরে এই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। প্রাইমাস পার্টনার্সের সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিলয় ভার্মার বক্তব্য, ‘এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, শুধু তথ্যপ্রযুক্তি, রত্ন, অলঙ্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রেই নয়, বরং সবুজ শক্তি, খাদ্য সুরক্ষার মতো উদীয়মান ক্ষেত্রকেও এই বাণিজ্যিক বৃদ্ধি শক্তিশালী করে তুলছে।’
ভারত-আরব অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও নানা উদ্যোগের উপর নির্ভর করে দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জটিল পরিকাঠামোগত প্রকল্প দেখাশোনার জন্য একটা মাস্টার ড্যাশবোর্ড, দ্রব্য এবং পরিষেবার জন্য দ্বিপাক্ষিক ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠা করা, ভারতের ওএনডিসি (ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স)কে উদ্দেশ্যসাধনের জন্য ব্যবহার করা এবং একটি অনলাইন ডিজিটাল রিপোজিটরি গড়ে তোলা, যাতে চিহ্নিত কৌশলগত ক্ষেত্রে বিনিয়োগযোগ্য প্রকল্পের উপর গুরুত্ব দেওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, উভয় দেশই নানা উদ্যোগের ক্ষেত্রে শীর্ষ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইইসি), ভারত-ইজরায়েল-সংযুক্ত আরব আমিরশাহী-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (আই২ইউ২) জোটের কথা উল্লেখ করা যায়।