ডিসেম্বরের প্রান্তিকে দেখা যাচ্ছে যে, আটটি বড় শহরে আবাসন বিক্রয় ২৬ শতাংশ কমে ১,০৬,০৩৮ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। রিয়েল এস্টেট কনসালট্যান্ট প্রপ টাইগার জানিয়েছে, কম চাহিদার কারণে বিক্রি কমেছে, মূলত উচ্চ মূল্যের কারণে। আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ১,৪৩,৪৮২ ইউনিট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে আটটি বড় শহর-আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কলকাতা, দিল্লি-এনসিআর (গুরুগ্রাম, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ ও ফরিদাবাদ) মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চল (মুম্বাই, নবি মুম্বাই ও থানে) এবং পুণেতে আবাসিক সম্পত্তির বিক্রয় ৬ শতাংশ বেড়ে ৪,৩৬.৯৯২ ইউনিট হয়েছে।
অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কালের তথ্য প্রমাণ করে যে, দিল্লি-এনসিআর ছিল শীর্ষ আটটি শহরের মধ্যে একমাত্র অঞ্চল, যেখানে নতুন বাড়ি বিক্রিতে ইতিবাচক বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে, এনসিআর-এ বিক্রয় আগের বছরের একই সময়ের ৬,৫২৮ ইউনিট থেকে বেড়ে ৯,৮০৮ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনটি সম্পর্কে মন্তব্য করে হাউজিং ডট কম এবং প্রপ টাইগার ডট কম-এর গ্রুপ সিইও ধ্রুব আগরওয়ালা বলেন, ‘অক্টোবর-ডিসেম্বর উৎসবের সময়কালে, প্রত্যাশিত হিসাব মেনে বিক্রয়, কোয়ার্টার ওভার কোয়ার্টার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বেশিরভাগ অঞ্চলে বিক্রয় এবং নতুন লঞ্চগুলি উভয় ক্ষেত্রেই ইয়ার অন ইয়ার হিসাবে হ্রাস পেয়েছে।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, রাজ্যের নির্বাচন এবং সারা দেশে সম্পত্তির মূল্যবৃদ্ধির মতো কারণগুলি ডেভেলপার এবং ক্রেতাদের ‘অপেক্ষা করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া’র দিকে পরিচালিত করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রদত্ত সময়ের জন্য মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চল, ৩৩,৬১৭টি ইউনিট বিক্রি করে বাজারের শীর্ষস্থানীয় হিসাবে তার স্থান ধরে রেখেছে।
এটি ৪৮,৫৫৩ ইউনিট থেকে ৩১ শতাংশ ইয়ার অন ইয়ার হ্রাস পেয়ে, ৩৩,৬১৭ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। পুনেতে ১৮,২৪০টি ইউনিট বিক্রি হয়েছে, যা ৩১ শতাংশ কমেছে বলে জানা গেছে। ২৩ শতাংশ ইয়ার অন ইয়ারের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু ১৩,২২৬টি ইউনিট বিক্রি করেছে। হায়দ্রাবাদে বিক্রি হয়েছে ১৩,১৭৯ ইউনিট অর্থাৎ ৩৬ শতাংশ ইয়ার অন ইয়ারের নিরিখে এবং চেন্নাইয়ে ৪,০৭৩ ইউনিট, যা ৫ শতাংশ ইয়ার অন ইয়ারে কমেছে। আহমেদাবাদে বিক্রি ১৫,৩১০ ইউনিট থেকে ৩৪ শতাংশ কমে ১০,১৭০ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। কলকাতায় ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কালে, আবাসিক সম্পত্তির বিক্রয় আগের বছরের ৪,৭৩৫ ইউনিট থেকে কমে ৩,৭১৫ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে।