বাজারে সস্তায় কাগজের চায়ের কাপের রমরমার মধ্যেও এখনও মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার ঐতিহ্য বজায় রয়েছে। এখনও ভাঁড়ে চা খাওয়ার সুখই আলাদা। বিশেষ করে যাঁরা স্বাস্থ্যকর বা রোগ জীবাণু মুক্ত কাপে চা খেতে চান, তাঁরা চায়ের দোকানের কাঁচের বা কড়ির কাপ বর্জন করেই চলেন। তাঁদের কাছে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়াটা শুধু স্বাস্থ্য সম্মতই নয়, উপরন্তু এই ভাঁড়ে চা খাওয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁরা একটা আভিজাত্য বোধ করেন। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে মাটির ভাঁড়ের ব্যবহার হয়ে থাকে। অথচ এখনও এই ভাঁড়ের দাম হিসেবে কুম্ভকাররা যা পেয়ে থাকেন, তা সত্যিই নগণ্য। মাটি আর জ্বালানির দাম মিটিয়ে কুম্ভকারদের হাতে বিশেষ কিছু থাকে না। সেজন্য মাটি সহ অন্যান্য সামগ্রীর অত্যধিক বৃদ্ধির জন্য আগামী পনেরো আগস্ট স্বাধীনতার দিন থেকে বাড়ানো হচ্ছে মাটির ভাঁড়ের দাম।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল আর্থপট মেকার ওয়েলফেয়ার এসোশিয়েশন-এর রাজ্য সভাপতি মোহনলাল প্রজাপতি। তিনি বলেন যে, ‘নিত্যদিন মাটি সহ জ্বালানির খরচ ও কারিগরের বেতন বেড়েই চলেছে। তাই বাধ্য হয়েই সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাম ধার্য করা হল।’ অর্ডিনারি চায়ের ভাঁড়ের দাম প্রতি একশো পিস ৭০ টাকা, স্পেশাল চায়ের কাপ ৯০ টাকা, ১০০ গ্রামের চায়ের কাপ ১৪০ টাকা, ১৫০গ্রামের দাম ২০০ টাকা, ২০০– ২৫০ গ্রামের দাম ২৫০ টাকা, ৫০০ গ্রামের দাম ৫০০ টাকা ও এক কেজির দাম এক হাজার টাকা প্রতি একশো পিসের দাম নির্ধারণ করা হল। আসন্ন ১৫ আগস্ট থেকে সব কুম্ভকার ভাই এই দামেই ভাঁড় সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন ওই সংগঠনের নেতা।