• facebook
  • twitter
Saturday, 29 March, 2025

ভারতের শুল্কের চাপে চিনের পাঁচ পণ্য, বাঁচবে দেশীয় শিল্প

জল পরিশোধনের জন্য চিন এবং জাপান থেকে আমদানি করা অ্যাসিডের উপর এতদিন শুল্ক ছিল টন প্রতি ২৭৬ ডলার। এ বার সেটা বাড়িয়ে ৯৮৬ ডলার করেছে কেন্দ্র।

ফাইল চিত্র

ভারতের সীমান্ত কুক্ষিগত করতে সদা প্রস্তুত হয়ে রয়েছে চিন। নানান অছিলায় চেষ্টা করছে ভারতকে কিভাবে নাস্তানাবুদ করা যায়। তবে বরাবর ভারত চিনকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে। সে সীমান্তে সেনা বিতাড়নের মাধ্যমে হোক বা চিনা পণ্যে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে।

বেশ কিছু বছর ধরেই ভারতের বাজার দখল করেছে চিনের নানান সামগ্রী। দামে সস্তা হওয়ায় চিনা পণ্যের সঙ্গে পেরে উঠছে না ভারতীয় শিল্প। কিন্তু ভারত সরকার এবার এগিয়ে এল দেশীয় শিল্প রক্ষার্থে। দেশীয় উৎপাদন শিল্পকে রক্ষা করতে ফের শুল্ক নীতিতে চিনকে থামাল ভারত। বেজিং থেকে আমদানি করা পাঁচটি পণ্যের উপর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই এই অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ কর, শুল্ক বোর্ড ও রাজস্ব বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুল্ক আরোপিত চিনা পাঁচ সামগ্রীর মধ্যে তিনটিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বর্ধিত শুল্ক আরোপ করা হল।

চিনের যে পাঁচ সামগ্রীর ওপর দিল্লি শুল্ক চাপানো হয়েছে সেগুলি হল সফ্‌ট ফেরাইট কোর, নির্দিষ্ট ঘনত্বের ভ্যাকুয়াম ইনসুলেটেড ফ্লাস্ক, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, ট্রাইক্লোরো আইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিড এবং পলি ভিনাইল ক্লোরাইড পেস্ট রেজিন। চিন থেকে এই সামগ্রী আমদানি করলে তার দাম ঘরোয়া বাজারের থেকে অনেকটাই কম পড়ত।

শুল্ক বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলির মধ্যে সফ্‌ট ফেরাইট কোর, নির্দিষ্ট ঘনত্বের ভ্যাকুয়াম ইনসুলেটেড ফ্লাস্ক ও ট্রাইক্লোরো আইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিডে আগামী বছর অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি নেবে সরকার। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ক্ষেত্রে অস্থায়ী ভাবে ছ’মাসের জন্য অতিরিক্ত শুল্ক চাপাচ্ছে দিল্লি। এতে টন প্রতি অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক নেওয়া হবে ৮৭৩ মার্কিন ডলার।

জল পরিশোধনের জন্য চিন এবং জাপান থেকে আমদানি করা অ্যাসিডের উপর এতদিন শুল্ক ছিল টন প্রতি ২৭৬ ডলার। এ বার সেটা বাড়িয়ে ৯৮৬ ডলার করেছে কেন্দ্র। বৈদ্যুতিন গাড়ি (ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যাল বা ইভি), চার্জার এবং টেলিকম ডিভাইসে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয় সফ্‌ট ফেরাইট কোর। এর আমদানি, পরিবহণ এবং বিমা খরচের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, এই শুল্ক নীতির সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধের সঙ্গে। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই বিশ্বের নানান দেশের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে ভারত হোক বা চিন বা কানাডা, সবাই এখন আমেরিকার শুল্কের কোপে। তবে এর বিপরীতে হেঁটে চিন বা কানাডা পাল্টা শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন পণ্যে।