রপ্তানিতে দুই বছরে চালের দাম সর্বনিম্ন

প্রতীকী চিত্র

গত বছরের ২৮শে সেপ্টেম্বর কেন্দ্র বাসমতি-বহির্ভূত চালের উপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, বিশ্বব্যাপী ভারতীয় চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় বাজারে ১০-১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও বিশ্বব্যাপী চালের দাম ১৫% পর্যন্ত কমে গেছে। রপ্তানির হিসেবে বলছে গত দুই বছরে চালের দাম আরও কমেছে। এই দাম হ্রাসের কারণ হিসেবে এশিয়ার চালের বাজার বর্তমানে দুর্বল চাহিদা এবং উচ্চ সরবরাহকে দায়ী করা হয়েছে।

ভারতে চলতি সপ্তাহে ২০২৩ সালের জুন মাসের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে খাদ্যশস্যটির দাম। একই সময়ে থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানির দাম দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সর্বনিম্নের কাছাকাছি স্থিতিশীল আছে। ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙ্গা পার্বইল্ড ধরনের চাল বর্তমানে প্রতি টনে বেচাকেনা হচ্ছে ৩৯৫-৪০১ মার্কিন ডলারে, যা গত সপ্তাহের ৪০৩-৪১০ মার্কিন ডলার থেকে কম। নয়া দিল্লি ভিত্তিক একটি বৈশ্বিক বাণিজ্য হাউসের ব্যবসায়ী জানান, ‘ক্রেতারা ধীরে ধীরে চাল কেনাকাটা করছে এবং অনেকেই দাম কমার কারণে কেনাকাটা বিলম্বিত করছে।’

উল্লেখযোগ্য, চলতি মাসের শুরুতে ভারত ১০০ শতাংশ ভাঙ্গা চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, যা সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে নিষিদ্ধ ছিল।


থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল প্রতি টনে ৪০৫ মার্কিন ডলারে স্থিতিশীল ছিল, যা গত সপ্তাহের একই দাম ছিল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুর্বল চাহিদা এবং মুদ্রার বিনিময় হারের কারণে এই সপ্তাহে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তারা আরও বলেন, সরবরাহ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে প্রচুর পরিমাণে চাল প্রবাহিত হচ্ছে।