তরতরিয়ে বাড়ল ডাইরেক্ট ট্যাক্স কালেকশন। এমনটাই জানাল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস(সিবিডিটি)। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী খবর, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১ এপ্রিল থেকে ১০ নভেম্বর-এর মধ্যে ১২.১ লক্ষ কোটি টাকা ডাইরেক্ট ট্যাক্স জমা পড়েছে সরকারি কোষাগারে, যা আগের থেকে ১৫.৪% বেশি।
সার্বিক ভিত্তিতে মোট কর সংগ্রহ (গ্রস ট্যাক্স কালেকশন) হয়েছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের থেকে ২১ শতাংশেরও বেশি। এর মধ্যে থেকে ২.৯ লক্ষ কোটি টাকা ট্যাক্স রিফান্ড করা হয়েছে, যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি। নেট কর্পোরেট ট্যাক্স কালেকশন হয়েছে ৫.১০ লক্ষ কোটি টাকার। নেট নন-কর্পোরেট ট্যাক্স জমা হয়েছে ৬.৬২ লক্ষ টাকার। এছাড়া আরও ৩৫,৯২৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে অন্যান্য খাতে – যেমন ইক্যুলাইজেশন লেভি (যা ‘গুগল ট্যাক্স’ বলেই সমধিক পরিচিত), গিফট ট্যাক্স ইত্যাদি।
কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য বর্তমান অর্থবর্ষে ২২.১২ লক্ষ কোটি টাকা ডাইরেক্ট ট্যাক্স বাবদ সংগ্রহ করা, যা গত অর্থবর্ষের থেকে ১৩ শতাংশ বেশি। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে ডাইরেক্ট ট্যাক্স বাবদ সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল ১৮.২৩ লক্ষ কোটি টাকা। আর্থিক বৃদ্ধির কারণে যদিও নির্দিষ্ট লক্ষ্যের থেকে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা, অর্থাৎ ৭.৪ শতাংশ বেশি ডাইরেক্ট ট্যাক্স জমা পড়ে সরকারের ঘরে। এই বছরও তেমনটাই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অধিক ট্যাক্স সংগ্রহের ফলে বাড়ে ট্যাক্স বয়্যান্সি (ট্যাক্স সংগ্রহে বদলের ফলে জিডিপিতে কতখানি বদল আসে, তার অনুপাত), যার ফলে সরকারের হাতে বাড়তি অর্থ থাকে নানা পরিকাঠামোগত খাতে বা সমাজসুরক্ষামূলক নানা প্রকল্পে ব্যয় করার জন্য। ট্যাক্স সংগ্রহ বাড়লে কমে রাজস্ব ঘাটতিও, যার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, অধিক ট্যাক্স সংগ্রহের কারণে বর্তমানে ভারত আর্থিক সমৃদ্ধির পথে রয়েছে, এমনটা বলাই যায়।
প্রসঙ্গত, ট্যাক্সকে মূলত দুটো ভাগে ভাগ করা হয় – ডাইরেক্ট এবং ইনডাইরেক্ট। ভারতে ডাইরেক্ট ট্যাক্সের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্যক্তিগত ইনকাম ট্যাক্স, কর্পোরেট ট্যাক্স, সিকিওরিটিজ ট্রাঞ্জ্যাকশন ট্যাক্স, কমোডিটি ট্রাঞ্জ্যাকশন ট্যাক্স, গিফট ট্যাক্স, মিনিমাম অল্টারনেট ট্যাক্স প্রভৃতি। ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সের মধ্যে পড়ে জিএসটি, কাস্টমস ডিউটি, এক্সাইজ ডিউটি প্রভৃতি।